রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য এখন সুতার ওপর। এক্ষেত্রে এই দুটি মেগা ইভেন্টের ‘লাইফ লাইন’ হয়ে দেখা দিতে পারে শ্রীলংকার বিপক্ষে হোম সিরিজ। কেননা শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে আসা না আসা ও দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের মূল্যায়নের ওপর ওই দুই মেগা ইভেন্টের ভাগ্য অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
আগামী ২৪ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছার কথা শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসদের বিপক্ষে এক মাসের এই দ্বি-পাক্ষিক হোম সিরিজটির পর ২৪ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়ানোর কথা এশিয়া কাপ। আর এর ঠিক পরেই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বসবে বাংলাদেশে। যেটি মার্চের ১৬ তারিখ শুরু হওয়ার কথা। তবে এখন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০১৪ সালের ভাগ্য নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সিইও আশরাফুল হক জানান, “আমার বিশ্বাস শ্রীলংকার বিপক্ষের সিরিজটি বাংলাদেশকে আয়োজক দেশ হিসেবে অনেকটা নির্ভর করতে পারে। তাদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলে সেটা বিসিবির জন্য ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। তবে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দ্বিপাক্ষিক কোনো টুর্নামেন্ট না হওয়ায় তা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে।
এশিয়ান ক্রিকেটের এই কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশ যদি শ্রীলংকার বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজটি সম্পন্ন করতে পারে তা বর্তমান অবস্থা উত্তরণে দারুণ কার্যেকরী হতে পারে। তবে সবাইকে এটা মনে রাখতে হবে পরের টুর্নামেন্টগুলো বহুদলীয় ইভেন্ট। ফলে সব দলগুলো এখন পর্যবেক্ষণের পর্যায়ে আছে। সুতরাং তারা তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো ডিপার্টমেন্টের ওপর নির্ভর করবে।”
পরে এসিসির সিইও আরো বলেন, “আসন্ন টুর্নামেন্টগুলো স্থগিত করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার উন্নতি না হলে প্রয়োজনে আমরা বিকল্প ভেন্যুর কথা বিবেচনা করব।” অবশ্য এই সমস্যা উত্তরণে কিছু দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন এসিসির এই কর্তা ব্যক্তি। তিনি জানান, ১৯৮৮ সালের এশিয়া কাপের সময়ও বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল ছিল। তখন খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার গ্যারান্টি পেয়ে ওই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছিল বিসিবি ও এসিসি।