সাংবাদিকদের সম্পদের হিসাব চাইলেন বনমন্ত্রী

0
148
Print Friendly, PDF & Email

বিভিন্ন মিড়িয়ায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সম্পদের হিসাব প্রকাশের তীব্র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যেসব সাংবাদিক আমাদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করছেন, তাদেরও সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা উচিত। তারা কি বৈধ না অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন করেছেন সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী নেতাদের সম্পদদের হিসাব প্রকাশ করছে বিভিন্ন মিডিয়া। সম্পদের হিসাব প্রকাশে আমাদের বাধা নেই, যথাযথ পন্থায় প্রকাশ করুক এটা আমরা চাই। আপনারা জানেন, গত পাঁচ বছরে সম্পদের মূল্য অনেকগুন বেড়েছে। অনেকে আবার পৈতৃকসূত্রে সম্পদের মালিক হয়েছেন। কিন্তু এগুলো মিড়িয়া প্রকাশ করছে না।’

২৯ ডিসেম্বর নতুন কর্মসূচির নামে খালেদা জিয়া সারাদেশের সন্ত্রাসীদের ঢাকায় এনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নৈরাজ্য করবে, আমরা তা বসে বসে দেখবো এটা হবে না। তাদেরকে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কোনো নৈরাজ্য করতে দেয়া হবে না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে, সমাবেশের নামে কোনোভাবেই নৈরাজ্য করতে দেয়া হবে।’

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বহিরাগতদের ওপর নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে এ নেতা বলেন, ‘গত দুই-তিন দিনে ঢাকায় অনেক বহিরাগত অবস্থান করছে। আপনারা তাদের ওপর নজর রাখবেন। বহিরাগত কাউকে দেখামাত্র পুলিশের হাতে সোপর্দ করবেন।

গতকাল বাংলামোটর গাড়ি পোড়ানোর মামলায় মির্জা ফখরুলদের আসামি করায় তারা কোনো রাখঢাক করেনি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ পর্যন্ত যতটি গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারার ঘটনা ঘটেছে, সবক’টির হুকুমের আসামি মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা। এসব নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ মদদধাতা খালেদা জিয়া। তাকেও আসামি করা উচিত।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ কতদিন হবে এটা বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার উপর নির্ভর করছে। তারা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে সমঝোতা করলে দশম সংসদ ভেঙে নির্বাচন দেয়া হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলন দেখলে মনে হয়, রাজনীতি জনগণের কল্যাণে নয়, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। তারা নির্বাচনের এমন একটি পদ্ধতি চায়, যার মাধ্যমে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত হবে।’

আবদুর রাজ্জাকের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি যে একটি ব্রত, এটা আমাদের রাজনীতিবিদরা ভুলে গেছেন। আমাদের জাতীয় নেতা আবদুর রাজ্জাক এটা বুঝতেন। তার জীবনে এর প্রতিফলন দেখেছি। আজকের পরিস্থিতিতে এমন নেতার প্রয়োজন ছিল।’

সংগঠনের সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, অরুন সরকার রানা প্রমুখ।

শেয়ার করুন