দশম জাতীয় সংদস নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আগামীকাল শুক্রবার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে এ নিয়ে আগামীকাল যে বৈঠক হবে সেখানেই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার আর্মড ফোর্সেস ডিভিসনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হকের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দেড়ঘণ্টা বৈঠকের পর সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, পরবর্তী বৈঠক শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
বুধবারের বৈঠকের আগে সিইসি ও পিএসও নির্বাচন কমিশন সচিব মুহাম্মদ সাদিকের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন।
তবে এসব বৈঠকে কি হয়েছে তা কোনো কিছুই প্রকাশ করেননি সেনা অফিসার আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বেসামরিক লোকাদের শক্তিশালী করতেই সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রত্যেক জেলায় এক ব্যাটালিয়ন সেনা মোতায়েন করা হবে। আর প্রত্যেক উপজেলা শহরে দুই থেকে চার প্লাটুন সেনা সদ্স্যকে কাজে লাগানো হবে।
তবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্র ও ভোট গণনা কেন্দ্রে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না।
কমিশন বলছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়া ১৫৪ আসনে সেনা মোতায়েনের দরকার নেই। আগামী ৫ জানুয়ারি বাকী ১৪৬ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৭ কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয় সশস্ত্র বাহিনী।
এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে। আগামীকাল শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের কথাও উল্লেখ ছিল ওই বৈঠকে।