বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক প্রার্থীকে (সংসদ সদস্য) নির্বাচিত করাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে হ্যাঁ এবং না ভোট ব্যবস্থার জন্যও উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আব্দুস সালামের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হাসান এম এস আজিম সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ নম্বর বিধি বাংলাদেশ সংবিধানের ৭, ১১, ২৭, ৩১, ৬৫(২), ১২১, ১২২(১) ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে তাকে জনগণ পছন্দ করে কিনা এ ব্যাপারে হ্যা/না ভোটের ব্যাবস্থার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস সালাম বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, জনগণরাই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। অথচ জনগণের ভোট ছাড়াই কেউ নির্বাচিত হবেন তা বলা নেই। অথচ আমরা জানতে পেরেছি ১৫৪জন বা তার বেশি প্রার্থী সমঝোতার ভিত্তিতে একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা অন্যান্যদের সঙ্গে সমঝোতা করে অনেক জায়গায় একক প্রার্থী দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাউকে নির্বাচনে নির্বাচিত হতে হলে তাকে অবশ্যই জনগণের সামনে আসতে হবে। এজন্য তাকে নির্বাচিত করার ব্যাপারে হ্যাঁ/না ভোটের ব্যাবস্থা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।’
অপরদিকে রিটে এ শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত যারা এককভাবে নির্বাচিত হবেন, তাদেরকে যেন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা না হয় সে ব্যাপারেও আদেশ দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দিন একক প্রার্থী থাকায় ১৫৪জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এর সূত্র ধরেই মূলত এ রিট করা হয়েছে।