দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া নির্বাচন কমিশনাররা এখন সাংবাদিক আতঙ্কে ভুগছেন। সাংদিকদের এড়িয়ে চলতে নিচ্ছেন নানা কৌশল।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতোমধ্যেই নির্বাচন ছাড়া বিজয়ী হয়েছে মহাজোট। ১৫৪টি আসনের ‘নির্বাচিতদের’ নিয়ে সারা দেশে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সেই হিসাব মেলাতে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে খোদ কমিশনই।
অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-অর্ডিনেটর এইচটি ইমামের চাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ার দুদিন পরেও অন্য প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তারা এককপ্রার্থী হিসেবে কয়েকজনকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
দুই দিন পরও মহাজোট ও জাতীয় সমজাতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত ফেনি-১ আসনের প্রার্থী শিরীন আখতারকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। যৌক্তিক কারণ বিএনএফ মনোনীত প্রার্থীকে জোরপূর্বক নির্বাচনের মাঠ থেকে বিতাড়িত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, ১৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় থাকলে ১৫ ডিসেম্বরও রিটার্নিং কর্মকর্তারা ১৩ ডিসেম্বরের তারিখ দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করে তিনজনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন।
বিজয়ীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান (রংপুর-১), শওকত চৌধুরী (নীলফামারী-৪) ও জাতীয় পার্টির (জেপি) ফখরুল ইমাম। এই তিনটি আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার দেখানো হয়েছে যথাক্রমে আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন, এ এ মারুফ সাকলান ও আবদুস ছাত্তারের।
চলমান দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশের সর্বত্রই সমালচনার মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ইসি সম্মেলন কক্ষে নিয়মিত কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অপেক্ষমান সাংবাদিকরা বৈঠক বিষয়ে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান সিইসি। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি। তিনি বলেন, ‘যা বলার ইসি সচিব বলবেন, উনার (সচিব) সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
এ ব্যাপারে সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবো এ বিষয়ে সিইসি আমাকে কিছু জানাননি।’
এর আগে রবিবার দিনভর দফায় দফায় বৈঠক শেষে রাত সোয়া ১১টায় বের হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হন সিইসি। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের দু-একটি প্রশ্নের জবাব দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।