রাষ্ট্রপতি যখন স্পিকার থেকে বিদায়ী ভাষণ দেন, তখন তিনি বলেছেন- রাষ্ট্রের ক্রান্তিôলগ্নে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছি। এটি আমার (রাষ্ট্রপতি) জন্য চ্যালেঞ্জিং, দোয়া করবেন আমি যেন সফল হতে পারি। তিনি (রাষ্ট্রপতি) কোন মহান ও চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালনের জন্য দোয়া চেয়েছেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের জন্য এভাবে দোয়া চাওয়ার প্রয়োজন হয় নেই বলে মন্তôব্য করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান।
শুক্রবার বেসরকারি টেলিভিশন ‘এসএটিভি’র ‘লেট এডিশন’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের বিষয় ছিল ‘নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা’। অনুষ্ঠানে আরেক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, সরকার একদিকে নির্বাচনি কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে অদ্ভুত ভাবে সমঝোতার বিষয়টিও চালিয়ে যাচ্ছে। গতকালেও প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেত্রীকে বলেছেন- আলোচনার দরজা খোলা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন- প্রধান দু’দলের মধ্যে যদি সমঝোতা হয়, তাহলে তফসিল আবারও ঘোষণা করা হবে। তিনি (কমিশনার) এও বলেছেন- সমঝোতা হলে সব কিছু সম্্ভব।
যদি একতরফা নির্বাচন হয় কত শতাংশ মানুষ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবে উপস্থাপকের এ কথার জবাবে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দু‘দিন আগে যদি সহিংসতার পরিমান বেড়ে যায়, তাহলে কম মানুষ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবে। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ মানুষ ভোট দিতে আসবে না। কারণ এ নির্বাচনে কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। ভোট দিলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় লাভ করবে, ভোট না দিলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় লাভ করবে। যাওয়া না যাওয়ার প্রশ্ন ওঠেনা।