১৮ দলের ডাকা ৬০ ঘন্টার অবরোধে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে৷ বন্দরে কর্মরত ৫শতাধিক শ্রমিক মানবেতন জীবন যাপন করছে৷ এছাড়া এ বন্দরের প্রতিদিনের রাজস্ব টার্গেট ৫০ লাখ টাকা থাকায় আমদানীকৃত পন্য থেকে সরকার হারাবে প্রায় ৩ কোটি টাকার রাজস্ব৷
বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ১৮০-২০০ টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে৷ কিন্তু অবরোধের কারণে গত মঙ্গলবার বন্দরে কোন পন্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেনি, গতকাল বুধবার মোটে প্রবেশ করেছে ৭২টি৷ এদিকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় হিলি বন্দরে ৫শতাধিক শ্রমিক মানবেতন জীবন যাপন করছেন৷ বন্দরে কর্মরত শ্রমিক আঃ খালেক, রিপন ও সাইদুল জানান, একদিন বন্দরে কাজ করলে ১৮০-২০০ টাকা পেয়ে থাকি৷ অবরোধে বন্দরে পন্য লোড-আনলোড কম হচ্ছে৷ ফলে দিন শেষে ৮০-১০০ টাকা কম হাতে নিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে৷ আমাদের মতো বন্দরে কর্মরত আরো ৫শতাধিক শ্রমিকের খেয়ে পরে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে৷
বাংলাহিলি কাঁচামাল আমদানীকারক গ্রম্নপের আহবায়ক হারম্নন উর রশিদ হারম্নন জানান, অবরোধে হিলি স্থলবন্দর থেকে দেশের অন্যান্য প্রানত্মে পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকার ফলে কোন পন্য হিলি স্থলবন্দরের বাহিরে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না৷ এতে করে ভারত হিলি ও বাংলাহিলিতে আমাদের অনেক কাঁচা পন্য পন্য আটকে পড়ার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকা লোকশান গুনেছেন, এমনটি চলতে থাকলে আরও লোকসান গুনতে হবে তাদের৷
অপরদিকে ব্যাংক, বন্দর, কাষ্টমস অফিসসমুহ খোলা থাকলেও স্থানীয় আমদানিকারকরা পন্য খালাস করে নিজস্ব গুদামে পন্য পরিবহন করলেও বাহিরের আমদানিকারকরা হরতালের কারণে মালামাল ছাড় না নেওয়ায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে সংশিস্নষ্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের৷
হিলি স্থলবন্দরের সহকারি কাষ্টমস কমিশনার (এসি) সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, লাগাতার অবরোধে আমদানিকৃত পণ্যবাহি ট্রাক বন্দরে কম ঢুকছে৷ আর ব্যবসায়িরা বন্দর থেকে কোথাও পণ্য পরিবহন করতে পারছেন না৷ ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে৷ তিনি আরো বলেন, হরতালের ফলে হিলি স্থলবন্দর থেকে পন্য খালাস করে দেশের অন্যত্র পন্য পরিবহন করতে না পারার ফলে আমদানী কারকরা ও পন্য আমদানী করতে ভয় পাচ্ছেন৷ এতে করে রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে৷