গোঁফ ছিল বটে মার্ভ হিউজের। তাঁর গোঁফের বহর দেখেই প্রতিপক্ষ কতটা ঘাবড়ে যেত কে জানে! তবে ‘থম্মো’ জেফ টমসন আর ডেনিস লিলির মতো ফাস্ট বোলাররা গোঁফ লালন করেছেন সযতনে। বলের পাশাপাশি সেই গোঁফ নিশ্চয়ই ত্রাস ছড়াতে সাহায্য করেছে তাঁদের। হালের অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা গোঁফের ততটা সমঝদার নন। তবে প্রতি নভেম্বরে এঁদের অনেককেই গোঁফ রাখতে দেখা যায়। এর কারণ আর কিছুই নয়, ‘মভেম্বর’ আন্দোলনে শরিক হওয়া।
প্রতি নভেম্বরে বিশ্বজুড়ে এই মভেম্বর আন্দোলন হয়ে থাকে। ‘মাশটাশ’ আর ‘নভেম্বর’ মিলিয়ে মভেম্বর। এই মাসে তারকারা গোঁফ রাখেন। প্রস্টেট ক্যানসার সম্পর্কে পুরুষদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলাই উদ্দেশ্য। প্রথম টেস্টের নায়ক মিচেল জনসনের নাকের নিচে যে গোঁফ শোভা পাচ্ছে, সেটা এ কারণেই। জনসন ছাড়াও কোচ ড্যারেন লেম্যান, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নাও এই গোঁফ রাখার মিশনে শামিল।
অবশ্য অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, এই গোঁফ জনসনের বাবু বাবু চেহারায় একটা বিশেষ পরিবর্তন এনেছে। সেটা তাঁর বাউন্সার আর ব্যতিক্রমী বোলিং অ্যাকশনের মতোই বাড়তি অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে। এ কারণেই একটি অস্ট্রেলীয় পত্রিকা খোলা চিঠি লিখেছিল জনসন যেন গোঁফটা রেখে দেন পুরো অ্যাশেজেই।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জনসন গোঁফ রাখতে রাজি হয়েছেন। তবে শুধু ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মনে ত্রাস ছড়ানোই তাঁর উদ্দেশ্য নয়। একটা মহতী উদ্দেশ্যও আছে। এই গোঁফ রাখার বিনিময়ে তিনি পাবেন ৫০ হাজার ডলার। যে টাকা দান করে দেওয়া হবে দাতব্য কাজে।