আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। নির্ধারিত সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়।
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হবে। তবে কমিশনের একটি সূত্র জানায়, ‘এ বৈঠকে গোয়েন্দা প্রধানরা দেশের চিত্র তুলে ধরে একটি রিপোর্ট সিইসির কাছে উপস্থাপন করবেন। এ রিপোর্টের ভিত্তিতেই সেনা মোতায়েনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে কমিশন।
সূত্রটি আরও জানায়, ‘ডিসেম্বরের দুই তারিখের মধ্যেই সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হবে। নির্বাচনপূর্ব সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত এ বৈঠকেই হবে।’
সিইসির সভাপতিত্বে এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউকে মোশতাক আহমেদ, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. আবু বেলাল মো. শফিকুল হক, পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত রয়েছেন।
এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, এসবি, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা এ বৈঠকে উপস্থিত আছেন।
নিরাপত্তা জোরদার: গত দুইদিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার কমিশন চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রবেশপথে চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবির সদস্যরদেরও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে।
বঙ্গবন্ধু চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের সড়কে রিকশা চলাচলেও বাধা দেয়া হচ্ছে। সাধারণ নাগরিকদের অনেককেই অন্য পথ দিয়ে ঘুরে যেতে দেখা গেছে।
প্রধান গেট ছাড়াও কমিশনের অন্যান্য গেটেও চালানো হচ্ছে কড়া তল্লাশি। কমিশন চত্বরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
সূত্র জানায়, নির্বাচনে আগ পর্যন্ত পুরো সময় ধরে ইসি জুড়ে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।