সিপিবির নির্বাচন বর্জনে আওয়ামী লীগে অস্বস্তি?

0
119
Print Friendly, PDF & Email

সিপিবি জানিয়ে দিয়েছে তারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলছেন, সবদলের অংশগ্রহণ ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবেন না।

তিনি বলছেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন একটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এমন নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই তার ফল বেশিদিন টিকবে না। এমন নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করতে চাইনা।”

এবারে নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেও ১৯৯১ সাল এবং তার আগে ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের সাথে একই জোটের অধীনে নির্বাচনে সিপিবি।

বাংলাদেশের গত কয়েক দশকের রাজনীতিতে এই দুটি দলকে মিত্র সংগঠন হিসেবেই দেখা গেছে।

সিপিবির এবারে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা আওয়ামী লীগের জন্য কতটা অস্বস্তিকর জবারে দলটির সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ বলছেন, “অনেক দিন ধরে সিপিবি তার রাজনীতি করে তার মতো করেই। আওয়ামী লীগ ও তাই। দলটির সংসদে কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। তারা প্রায়ই নির্বাচনে অংশ নেয়ও না। বাংলাদেশে অনেক রেজিস্টার্ড দল রয়েছে। তাদের কেউ তো নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারে।”

বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিষয়ে, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীকে মোকাবেলার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ এবং সিপিবিকে সমমনা বলে মনে করা হতো।

তবে সিপিবির সভাপতি সেলিম বলছেন আদর্শগত দিক থেকে আওয়ামী লীগের সাথে অনেক আগেই তাদের দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে। তিনি বলছেন, “আমরা আমাদের অবস্থান থেকে এক বিন্দুও সরে আসিনি তবে আওয়ামী লীগ নিজেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ মুক্তবাজার অর্থনীতি ও সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু। তারা লুটপাটের অর্থনীতির ধারা অনুসরণ করে চলেছে।”

এখনো পর্যন্ত এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ১৪ দলীয় জোট এবং জাতীয় পার্টি। সাংবাদিক আবেদ খান বলছেন, ভোটের রাজনীতিতে বা ভোটের অংক বিবেচনায় আওয়ামী লীগ হয়তো সিপিবির অবস্থানের কারণে খুব বেশি বিপাকে পড়বে না। কিন্তু সিপিবিকে মোর্চায় টানতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশের কয়েকটি বাম দল ১৪ দলীয় জোটের সাথে নির্বাচনে যাচ্ছে। তবে আবেদ খান মনে করছেন, অন্য কয়েকটি বাম দল থেকে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা শীঘ্রই আসতে পারে। আর তা আওয়ামী লীগের নির্বাচন আয়োজনের যুক্তিকে একটু হলেও দুর্বল করবে। সূত্র: বিবিসি।

শেয়ার করুন