‘ওরা ১১ জন’

0
160
Print Friendly, PDF & Email

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের বহরে জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু যোগ হওয়ায় এখন উপদেষ্টাদের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জনে। তাছাড়া এর আগেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সব সময় ১১ উপদেষ্টাই নির্বাচনকালীন সময় সরকার পরিচালনা করেছেন। যেনো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’।

প্রধানমন্ত্রীর পুরনো উপদেষ্টারা হলেন- জনপ্রশাসন বিষয়ক এইচ টি ইমাম; অর্থনীতি বিষয়ক মসিউর রহমান; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী; শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনীতি বিষয়ক আলাউদ্দিন আহমেদ; বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী; আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গওহর রিজভী এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

এদিকে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের দিন জাতীয় পার্টি নেতা জিয়াউদ্দিন বাবলুকে উপদেষ্টা করা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ব্যারিস্টার সফিক আহমেদ এবং দিলীপ বড়ুয়াকে উপদেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ যোগ হন জাতীয় পার্টি (জেপি নেতা) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

এছাড়া সচিব পদমর্যাদায় রয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং আইসিটি উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে উপদেষ্টাদের তালিকায় এই দুজনের নাম নেই। তারা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশও নেন না।

তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে বিগত চারটি নির্বাচন হয়েছে ১১ উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত সরকারের মাধ্যমে। এবার শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সরকারের উপদেষ্টা ১১ জন এবং মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ২৯ জন।

যেখানে ১১ উপদেষ্টা আছে সেখানে ২৯ মন্ত্রীর প্রয়োজন আছে কি না এমন প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমেনা মোহসীন বাংলামেইলকে বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য এতো মন্ত্রী-উপদেষ্টার প্রয়োজন নেই।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে অ্যাকোমোডেট করার জন্য এতো মন্ত্রী-উপদেষ্টা নিয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচন না হওয়ারও একটা আশঙ্কা রয়েছে। সেদিক থেকে বিবেচনা করেও তাদের নিয়োগ দেয়া হতে পারে। কারণ নির্বাচন না হলে এই মন্ত্রিসভা ও উপদেষ্টারা সরকার পরিচালনা করবে। তা-না হলে তোফায়েল আহমেদ সাহেবরা এতোদিন মন্ত্রিসভায় থাকেননি। এখন হঠাৎ করে এলেন কেন?’

শেয়ার করুন