জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটে ‘না’ ভোটের বিধান রাখতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব।
গত ১৭ নভেম্বর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে না ভোটের বিধান সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার শাহরিয়ার মজিদ ও অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মোহাম্মাদ ফারুক।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ‘না’ ভোটের বিধান সংযোজন করতে বিবাদীদের একটি আইনী নোটিশ পাঠান এই দুই আইনজীবী। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিটটি করা হয়।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রথমবারের মতো ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়। কিন্ত পরবর্তীতে এ বিধান সংযোজন করা হয়নি।
আইনজীবী বলেন, “একজন অসৎ, অযোগ্য ব্যক্তিকে থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে ব্যালট পেপারে না ভোটের বিধান সংযোজন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে রুল জারির আবেদন করেছিলাম। আদালত বিষয়টি শুনে রুল দিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বৃটেনসহ সারা বিশ্বের ১৪টি দেশে না ভোটের বিধান চালু রয়েছে। আমাদের দেশে বিষয়টি কেন চালু করা হবে না।”