গত শুক্রবার ১৮ দলের জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিরোধী দলের দাবি না মেনে তফসিল ঘোষণা হলে ‘দেশ অচল করে দেয়ার’ হুমকি দেন। একই দিন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ ঘোষণা দেন, ‘জীবন যাবে অথবা তত্ত্বাবধায়ক আসবে’। তাদের এ হুমকি বিবেচনায় এনে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সারাদেশে সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে সরকার। বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকানো, ‘নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি’ এড়াতে এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে প্রিয় দেশকে নিশ্চিত করে নির্ভরযোগ্য দুটি সরকারি সূত্র।
অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য প্রস্তুতি শেষ করেছে ইসি সচিবালয়। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে প্রিয় দেশকে জানান নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ।
নির্বাচন সচিবালয় সূত্র জানায়, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে আইন, বিধি অনুযায়ী সব সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি তফসিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার সামগ্রী নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হবে। আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর থেকে কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল সভা, সমাবেশ করতে পারবে না। তবে ভোটের ২১ দিন আগে থেকে বিধি অনুযায়ী প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তফসিল ঘোষণার পর রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি এলাকায় বিরোধী দলের যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ থাকবে সর্বোচ্চ অ্যাকশনে। বিরোধী জোট আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার সঙ্গেই নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের অভিযান চালানো হবে। বিরোধীরা কর্মসূচি পালনে মাঠে সহিংস হওয়া মাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার প্রিয় দেশকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনস্বার্থে যা করণীয় পুলিশ তাই করবে। কোনোরকম অরাজকতা মেনে নেয়া হবে না।’