জব্দ করা গাছ নিয়ে গেলেন আ.লীগের সেই নেতা

0
534
Print Friendly, PDF & Email

বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের দুই পাশ থেকে কেটে নেওয়া কিছু গাছ জব্দ করে স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তাঁর স্বজনেরা গাছগুলো জোর করে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জিম্মাদার চুন্নু হাওলাদার অভিযোগ করেন, পুলিশ ১৮ নভেম্বর রাতে তাঁর কাছে গাছের ১৫০টি গুঁড়ি, পাঁচটি গোড়া ও ১৫০ মণ জ্বালানি কাঠ রেখে যায়। শুক্রবার রাতে ঢলুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি টুলু মোল্লা, তাঁর চাচা মজিদ মোল্লা, মাসুদ মোল্লা, মন্টু মোল্লাসহ কয়েকজন এসে জব্দ করা সেই গাছ ও জ্বালানি কাঠ নিয়ে যান। ঘটনাটি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মুঠোফোনে সদর থানার পুলিশকে জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নেতা টুলু মোল্লা ও তাঁর স্বজনেরা ১৩ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলার নলী-ইটবাড়িয়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের দুই পাশ থেকে ২৫টি রেইনট্রি ও চাম্বলগাছ কাটেন। এ ঘটনায় ১৭ নভেম্বর প্রথম আলোতে ‘সরকারি গাছ কেটে নিচ্ছেন আ.লীগ নেতা !’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই দিনই পাউবোর শাখা কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। ১৮ নভেম্বর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এসব গাছ জব্দ করে চুন্নু হাওলাদারের জিম্মায় রেখে আসে।
টুলু মোল্লা বলেন, ‘আমরা গাছ নিইনি। যেখানকার গাছ সেখানেই পড়ে আছে।’ তাঁর চাচা মজিদ মোল্লা বলেন, ‘আমরা বাঁধের গাছ কাটিনি। এসব গাছ আমাদের রেকর্ডের সম্পত্তিতে। তাই আমাদের গাছ আমরা কেটে নিয়ে গেছি।’ তবে পাউবো কেন আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করল—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এলাকায় আমাদের শত্রু আছে। তাঁরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এসব করাচ্ছেন।’
সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওবায়দুল হক বলেন, ‘গাছগুলো আটক করে স্থানীয় চুন্নু হাওলাদারের কাছে জিম্মায় রেখে এসেছিলাম। গতকাল তিনি ফোন করে আমাকে জানান গাছগুলো তাঁর কাছ থেকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম খান ফারুকী জানান, গাছ ও কাঠ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন