গল্পে-আড্ডায় গতকাল শনিবার এক আনন্দঘন সন্ধ্যা উপভোগ করেছেন প্রথম আলোর রাজশাহীর পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীরা। প্রথম আলোর ১৫ বছর পূর্তি
উপলক্ষে আয়োজিত এ সুধী সমাবেশ এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, অধ্যাপক, সরকারি-বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তা, আইনবিদ, ব্যবসায়ী, মানবাধিকারকর্মী, লেখক-সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের সুধীজনেরা উপস্থিত হন। সন্ধ্যা সাতটায় অনুষ্ঠান শুরু হলেও অতিথিরা আসতে থাকেন আগে থেকেই।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বইপ্রেমী পলান সরকার সুধী সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, শিক্ষা হলো এমন একটি অস্ত্র, যা ভালো কাজে ব্যবহার করলে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়। আবার খারাপ কাজে ব্যবহারকরলে দেশ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। বইপত্রে লেখা আছে, ‘কথা কম বল, কাজ বেশি কর।’ সবাই মিলে কাজ করলে দেশের অবশ্যই উন্নয়ন হবে। এর আগে অতিথিদের স্বাগত জানান প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ। এরপর বর্ষপূর্তি উপলেক্ষে নির্মিত ‘আশা আছে’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রথম আলোর সম্পাদক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। প্রথম আলো নানাভাবে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। দেশের সাধারণ মানুষসহ আমাদের সবার প্রত্যাশা আমরা সবাই মিলে ভালো থাকি। ভালো থাকুক বাংলাদেশ। কিন্তু সবার মনেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, বাংলাদেশ ভালো থাকবে তো? পথ হারাবে না তো? অতীতেও দেশে এমন অনেক সংকট এসেছে। দেশের মানুষই সেই সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করেছে। আমরা আশায় বুক বাঁধতে চাই। এবারও দেশের মানুষ সঠিক পথটিই খুঁজে নেবে। বাংলাদেশ পথ হারাবে না।’
মতিউর রহমান বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদলের চেয়ে ভালো কোনো পথ নেই। তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই দশকে নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে গেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে, শিশু মৃত্যুর হার, মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহ্রাস, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা আজ আমাদের সেই স্বীকৃতি দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, গণমানুষের এই অগ্রযাত্রায় প্রথম আলো তাঁদের সঙ্গে বিনয়ী সহযাত্রী হিসেবে পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে ছিলেন রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক হাইকমিশনার সাইদুর রহমান খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমেদ, সমাজসেবী শাহীন আকতার, বৃক্ষপ্রেমী কার্তিক পরামানিক প্রমুখ।