দেশকে অনিবার্য সংঘাতের পথেই ঠেলে দিচ্ছে সরকার। সমঝোতার শেষ সম্ভাবনাটুকুও মিইয়ে যেতে বসেছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা এবং পাকাপোক্ত করার সরকারি একগুঁয়ে মনোভাবের কারণে দেশ শেষ পর্যন্ত আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দেশি-বিদেশি সব মহলের উদ্বেগ, উত্কণ্ঠা এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের তাগিদ উপেক্ষা করে শাসকগোষ্ঠী দেশকে ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সংবিধান, আইন-কানুন, রীতি-নীতি কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না সরকার।
আর সরকারের এই একরোখা ও বেপরোয়া আচরণের নেপথ্য শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারতের একচোখা সমর্থন, গত পাঁচ বছরে লুট করা বিপুল অর্থ, সর্বব্যাপী দলীয়করণ করা পুলিশ ও জনপ্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগের নতজানু ভূমিকা। সরকার মনে করছে, উল্লেখিত শক্তিগুলো বিরোধী দলবিহীন একতরফা নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মহাজোট সরকার মেয়াদের শেষপ্রান্তে এসে যে উন্মত্ততা দেখাচ্ছে, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতনের পর বিগত প্রায় দুই যুগে কোনো সরকার মেয়াদান্তে এমন বেপরোয়া আচরণ করেনি। মূলত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে সবার অংশগ্রহণমূলক শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে মহাজোট। বিগত কয়েকটি সরকারের সময় শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতার পালাবদলের যে সুযোগ ছিল তা রুদ্ধ হয়ে গেছে। কেবল তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই নয়, সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে এমন সব পরিবর্তন আনা হয়েছে যা প্রকারান্তরে বাকশালকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আরেকটি নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার ও তার মন্ত্রিসভা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যাবে—এমন বিধান রাখা হয়েছে। এটাকে পুঁজি করেই সরকার মনে করছে, বিরোধী দলের বাধায় নির্বাচন যদি পণ্ড হয়ে যায় তাহলেও সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে না। আন্দোলন দমাতে হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়নের স্টিমরোলার চালালেও বিরোধী শিবিরের প্রতিকার পাওয়ার কোনো জায়গা এখন আর নেই বলেই মনে করে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড মহাজোটের শরিকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, আঞ্চলিক পরাশক্তি ও বাংলাদেশের বৃহত্ প্রতিবেশী দেশ ভারত সর্বশক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগের পাশে থাকবে। প্রধান প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন হবে এবং আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করবে এবং সেই নির্বাচন ও সরকারকে স্বীকৃতি দেয়াসহ টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ভারত প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেবে। আওয়ামী লীগের এমন বক্তব্যের সমর্থনে ভারতীয় কূটনীতিকরা জোর তত্পরতা চালাচ্ছেন। গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদের ওপর চাপ ও প্রলোভন দিয়ে একতরফা নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য মরিয়া ভূমিকা নিয়েছে প্রতিবেশী দেশের ঢাকায় নিয়োজিত কূটনীতিকরা। জাতীয় পার্টির সঙ্গে বোঝাপড়া হয়েছে মূলত সিঙ্গাপুরে। জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ আকস্মিকভাবে সিঙ্গাপুরে যান এবং একই সময়ে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণও সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন। সেখানেই দরদাম নির্ধারণ ও লেনদেনের ফয়সালা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে ভারত তার পছন্দের দল আওয়ামী লীগকে জেতাতে হাজার কোটি টাকার বাজেট নিয়ে নেমেছে বলে ভারতীয় পত্রিকায়ই চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়েছে। আবার দিল্লিতে ভারতের সুশীলরা সেমিনার করে বাংলাদেশে আবার জঙ্গি উত্থানের কাল্পনিক আশঙ্কা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার ওপর জোর দেন। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের আপনজন। গত পাঁচ বছরে ভারত ঢাকা থেকে যে সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছে তার প্রতিদান হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনার পাশে থাকার কথাও বলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটন গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে একই ধরনের লবিং করেন।
এদিকে একতরফা নির্বাচন করতে সরকারের বেপরোয়া মনোভাবের পেছনে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা রাখছে বিগত পাঁচ বছরে লুট করা অর্থ। সরকারের প্রভাবশালীরা মনে করেন, অর্থের বিনিময়ে সব অসাধ্য সাধন করা সম্ভব। আগামী নির্বাচনে অধিক সংখ্যক দলকে অংশগ্রহণ করানোর জন্য বড় বাজেট নিয়ে মাঠে নেমেছে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও মহাজোটের নেতারা। নির্লজ্জভাবে বিভিন্ন ছোট ছোট দলের নেতাদের কাছে গিয়ে সরকারে মন্ত্রিত্বসহ বড় অংকের অর্থের প্রলোভন দেয়া হচ্ছে। ১৮ দলীয় জোটের অন্তত ৬টি শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে দফায় দফায় ধরনা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা ও বিশেষ সংস্থার লোকজন। বিশেষ করে সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকা এলডিপি’র কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমানকে বড় দাগে প্রলোভন দেখানো হয়েছে। প্রলোভনে কাজ না হওয়ায় নানামুখী চাপ ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বেসরকারি টিভি বাংলাভিশনকে দেয়া সাক্ষাত্কারে খোলাসা করে বলেছেন, নির্বাচনে নিতে সরকার তার উচ্চমূল্য নির্ধারণ করেছে। তিনি সরকারের প্রস্তাব ও প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান করা হলে তিনি বিবেচনা করবেন।
সূত্রমতে, সংসদে প্রতিনিধিত্ব নেই ১৮ দলীয় জোটের এমন একাধিক দলের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে সরকার। তাদেরকে সংসদের আসন ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিতভাবে এমপি বানানো এবং নির্বাচনী খরচের জন্য আসনপ্রতি ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা করে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত কয়েকটি ইসলামী দলকে নির্বাচনে নিতে সরকার মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। তাদেরকেও বড় অংকের অর্থ, সংসদের উল্লেখযোগ্য আসন এবং ক্ষমতার অংশীদারিত্ব দেয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। এমনকি বিএনপি’র এমপি, নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও চাপ-লোভ দেখানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। কারাগারে বন্দি আছেন, সাজা দেয়া হয়েছে, মামলার শুনানি চলছে এমন অনেক বিরোধী নেতার কাছে যাচ্ছে লোভনীয় প্রস্তাব। রাজি হলে মামলা থেকে খালাস, মুক্তিসহ নানা সুবিধা।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সরকারের টোপ উল্লেখ করার মতো কোনো দল গিলেনি। তবুও সরকার লাজলজ্জার মাথা খেয়ে প্রকাশ্যেই বলে বেড়াচ্ছে যে বিরোধী জোট থেকে অনেকেই নির্বাচনে এবং নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাওয়া একাধিক দলের নেতা আমার দেশকে জানিয়েছেন, যে পরিমাণ অর্থের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে তা অবিশ্বাস্য। সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে তার অংশবিশেষ এখন আরেকবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যয় করছে বলেও তারা মনে করেন। বিশেষ করে শেয়ারবাজার থেকে এক লাখ কোটিরও বেশি অর্থ লোপাট, কুইক রেন্টালে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির নামে দলীয় লোকদের মাধ্যমে তার বড় অংশ পকেটস্থ করা, পদ্মা সেতু, হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারি, ডেসটিনি কেলেঙ্কারি, বিনা টেন্ডারে গ্যাস কম্প্রেসার স্থাপনের কাজ দিয়ে মার্কিন কোম্পানি থেকে ঘুষ গ্রহণ, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা থেকে শুরু করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়নে যাওয়া অধিকাংশ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বড় অংকের অর্থ লোপাট করা হয়েছে। সে অর্থই এখন দল ও নেতা কেনা-বেচায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরকারের দম্ভ ও বেপরোয়া আচরণের আরেক কারণ সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে প্রশাসনের সর্বস্তরে দলীয়করণ। গত পৌনে ৫ বছরে বর্তমান সরকার সাড়ে তিন লাখের বেশি সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। এসব নিয়োগের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিয়মনীতি, মেধা-যোগ্যতা উপেক্ষা করে দলীয় লোকজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জসহ বৃহত্তর ফরিদপুর এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকজনকে বসানো হয়েছে সব গুরুত্বপূর্ণ পদে। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ ও পদোন্নতি পাওয়া এসব কর্মকর্তা আইনকানুন ও মানবাধিকার-মৌলিক অধিকারের কোনো তোয়াক্কা না করে স্বেচ্ছাচারিতার রাজত্ব কায়েক করেছে। সরকারের আস্কারায় পুলিশ পরিণত হয়েছে খুনি বাহিনীতে। গুলি ছাড়া এখন আর কোনো অ্যাকশনের কথা চিন্তা করতে পারছে না পুলিশ। এভাবে দলীয় ক্যাডারদের মাধ্যমে দেশে ত্রাস সৃষ্টি করতে পেরে সরকার বিরোধী আন্দোলনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে। নির্বাচন ঠেকানোর মুরোদ বিরোধী দলের নেই বলে যে কটাক্ষ করছে তার পেছনেও দলান্ধ পুলিশ ও জনপ্রশাসন।
সরকারের মারমুখী আচরণের নেপথ্যে আরেক শক্তি হচ্ছে আদালত। অতীতে বলদর্পি সরকারগুলোর নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষের আশ্রয়স্থল ছিল আদালত। কিন্তু এখন আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার একরকম নির্বাসনে চলে গেছে। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে শেষ আশ্রয়স্থল আপিল বিভাগ পর্যন্ত কোথাও ন্যায়বিচার পাওয়ার ন্যূনতম সুযোগও অবশিষ্ট নেই বলে মনে করে আইনজ্ঞরা। তাদের মতে, বিচার বিভাগ এমনভাবে সাজানো হয়েছে সেখানে বিরোধী দল ও মতের লোকজন ন্যায়বিচার পাওয়া তো দূরের কথা উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছে। সাবেক আইনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক সচিব ও বর্ষীয়ান নেতা এমকে আনোয়ারের মতো ক্লিন ইমেজের লোকদেরও বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে পুরনো মামলায় সাজানো অভিযোগ দিয়ে রিমান্ড চাইলে সেটা মঞ্জুর হচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে তাদের নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। জামিন আবেদনের শুনানি করে আদেশ না দিয়ে অধিকতর শুনানির নামে আটকে রাখা হচ্ছে। কথিত স্বাধীন বিচার বিভাগের এমন আচরণ আইনের শাসনের কোন সংজ্ঞায় পড়ে তা কোনো বিবেকবান মানুষ বুঝতে পারছেন না। উচ্চ আদালতের নানা আদেশ-রায় নিয়েও বিতর্কের অন্ত নেই। আইনজীবী নেতারা বলছেন, পর্দার আড়াল থেকে খবরদারি আর দলীয় আনুগত্য গোটা বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। আর এটা অত্যন্ত স্বার্থকভাবে করতে পেরে সরকারের উচ্চ মহল এখন আর কোনো অপকর্ম করতেই দ্বিধা করছে না। তারা মনে করছে, প্রতিকারের সব দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন যা খুশি তা করতে কোনো বাধা নেই।
নির্বাচন কমিশনের নতজানু মনোবৃত্তিও সরকারের ড্যামকেয়ার আচরণের অন্যতম কারণ বলে মনে করে বিশ্লেষকরা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন কথিত সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হলেও কমিশনের সব সদস্যই সরকারের অন্ধ অনুগত। তারা যা কিছু করছেন তার সবই সরকারের ছকে। সরকার যে নীল নকশা প্রণয়ন করেছে তা বাস্তবায়নই কমিশনের দায়িত্ব জ্ঞান করে প্রতিটি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ মহলের চাপে বিএনপি নামক একটি দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে আইনকানুন ভেঙে। এ দলটি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গঠিত বলে দাবি করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এ নিবন্ধনের বিরুদ্ধে জোর আপত্তি করা সত্ত্বেও কমিশন কোনো আমলেই নেয়নি। এছাড়া সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ব্যাপারে কমিশন একেবারেই উদাসীন। তাদের সব নির্বাচনী প্রস্তুতি এগোচ্ছে সরকারের আদেশ-ইশারায়। এক তরফা নির্বাচনে বিভিন্ন দল থেকে বেচাকেনার সুযোগ সৃষ্টি করতে কমিশন আরপিওতে সংশোধন করেছে। সংশোধনী অনুযায়ী এক মিনিট আগে যোগ দিয়েও যে কোনো ব্যক্তি যে কোনো দল থেকে মনোনয়ন পাবে। আগের আইনে তিন বছর দলে সক্রিয় থাকতে হতো। একইভাবে সংসদ বহাল রেখে, মন্ত্রিত্বের আসনে থেকে মহাজোটের প্রার্থীরা যাতে ভোটের নামে তামাশা করতে পারে তার বন্দোবস্ত করেছে কমিশন। এ লক্ষ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন করা হয়েছে।
একতরফা নির্বাচনী ছক বাস্তবায়নের এসব সহায়ক শক্তিগুলো সরকারকে আপসের পথ পরিহার করে সংঘাতের পথে যেতে উত্সাহী করছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংলাপ না সংঘাত-এ প্রশ্নে দৃশ্যত এখন সরকার সংঘাতের পথই পছন্দ করছে। সে সংঘাত নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত রূপ পরিগ্রহ করবে বলে আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।