বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে দেয়া আলোচনার প্রস্তাব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি দেশ ও জনগণের স্বার্থে তাকে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। বিরোধী নেত্রী যে ভাষায় আমার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেন তা মোটেই শোভন ছিল না। এটি রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না। তিনি আমাকে বলেন, তিনি আমার সঙ্গে বসবেন না।”
প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকেলে রাজধানীতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে গত ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জামায়াত-হেফাজতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চেক প্রদানকালে এ কথা বলেন। তিনি এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, তারা দেশের উন্নয়ন নয়, কেবল লাশ চায়।
শেখ হাসিনা বলেন, “বিরোধী নেত্রী হরতালের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা করছেন। তার পিপাসা মিটাতে আর কতো রক্তের প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “উনি সন্ত্রাস ও ধ্বংসলীলা চালিয়েও খুশি নন। তিনি আরো ধ্বংস আর অরাজকতা চান। তার আরো রক্তের প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “আমি জানি না আর কতো রক্ত হলে তার পিপাসা মিটবে। আমি তার কাছে জানতে চাই তিনি আর কতো মানুষের রক্ত নেবেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অশুভ শক্তিগুলো বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে চায় না। তারা অতীতে খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ যুগিয়েছে, এখন তারা খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় আনতে চায়।”
তিনি বলেন, “বিরোধী দল নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। শিশু থেকে শ্রমজীবী মানুষের কেউ তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।” তিনি হরতালের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো থেকে বিরত থাকতে বিরোধী দলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, “তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই।”
বিরোধী নেত্রীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনার ধারণা, এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ও সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণ আপনাকে বাহবা দেবে। কিন্তু আমি মনে করি, জনগণ এ ধরনের অরাজকতা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।”
তিনি বলেন, “বিরোধী দল হরতালের নামে নিরীহ লোকদের হত্যা করছে। তারা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষ মারছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা শুধু সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে।”