বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “গোপন চুক্তি করে বর্তমানে দেশকে যেদিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে তাতে জাতীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। তাই এই মুহূর্তে আধিপত্যবাদী শক্তিকে রুখতে মওলানা ভাসানী প্রদর্শিত পথই আমাদের পাথেয়। আমরা সেই পথেই অপশক্তির অশুভ ইচ্ছাকে পরাস্ত করতে সক্ষম হবো।”
১৭ নভেম্বর মওলানা ভাসানীর মৃত্যুদিবস উপলক্ষে এক বাণীতে খালেদা জিয়া একথা বলেন। দলের দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি শনিবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খালেদা জিয়া মরহুমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, “মওলানা ভাসানী আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক প্রাতঃস্মরণীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের প্রবাদপুরুষ মওলানা ভাসানী বৃটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপ-মহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে তিনি আপসহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন। মওলানা ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম তূর্যবাদক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতার ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন প্রদীপ্ত এক আলোকবর্তিকা। তার অবস্থান ছিল শোষণের বিরুদ্ধে শোষিতের পক্ষে। অধিকার আদায়ে তিনি এদেশের মানুষকে সাহস যুগিয়েছেন তার নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের দ্বারা। তার হুঙ্কারে কেঁপে উঠত অত্যাচারী শাসক শোষক গোষ্ঠীর মসনদ।”
বিবৃতিতে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, “অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী আমাদের প্রেরণার উৎস। তার নিখাদ দেশপ্রেম দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষা এবং গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।”
খালেদা জিয়া বলেন, “মওলানা ভাসানীর আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো।”
মওলানা ভাসানীর মৃত্যুদিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৭ নভেম্বর রোববার মওলানা ভাসানীর মৃত্যুদিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি পরলোক গমন করেন।