মতিঝিল থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত দুটি মামলায় বিএনপির গ্রেফতারকৃত শীর্ষ ৫ নেতার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রেজাউল করিমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদেশের পর বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা তাদের মুক্তির দাবিতে আদালতের সামনে মিছিল করেন।
এর আগে প্রয়োজনীয় নথি না থাকায় বেলা পৌনে ১১টার দিকে শুনানি সাময়িকভাবে মুলতবি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রেজাউল করিম। পরে নথি নিয়ে আসার পর ১২ টা ৪০ মিনিটে আদালতে শুনানি শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রেজাউল করিমের আদালতে বিএনপির ৫ নেতার রিমান্ড শুনানি করেন মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু। এ সময় আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের শুনানি করলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জানান দুইটি মামলার একটির নথি তার কাছে নেই। এ সময় আসামিপক্ষ থেকে নথিটি মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে সিএমএম আদালতে আনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এরপর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন দুটি মামলার শুনানি একই সাথে হবে। কারন মামলা দুটির অভিযোগ একই।
তিনি বলেন, এ দুটি মামলায় কিছু নেই। আমাদের রাজনীতিবিদদের অপমান করার জন্যই এ মামলা আনা হয়েছে। মওদুদ আহমেদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্রগোলের সৃষ্টি হলে ম্যাজিস্ট্রেট নথিটি আনার অনুমতি দিয়ে বেলা পৌনে ১১ টার সময় এজলাস থেকে নেমে যান।
আজ আসামিপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়াসহ অর্ধশত আইনজীবী উপস্থিত রয়েছেন। শুনানি চলাকালে আদালতের বাইরে বিএনপির ৫ নেতার মুক্তির দাবিতে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
গত শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম জয়নব বেগমের আদালত মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় রিমান্ড শুনানি মুলতবি করে এ দিন ধার্য করেন। একই সাথে ৫ নেতার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
গত ৫ নভেম্বর মতিঝিল থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক আইনের মামলা (নম্বর ১৬) এবং ২৪ সেপ্টেম্বর একই থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক আইনের আরেকটি মামলায় (নম্বর ৪৪) গ্রেফতার দেখানো হয়। দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের সামনে থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে এবং একই দিন রাত ১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় চোরপারসেনর উপদেষ্টা আব্দুল আওয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়।