সর্বদলীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মন্ত্রীরা পদত্যাগ করার পরও দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খালেক মনি নামে এক সাংবাদিক এ রিট দায়ের করেন। রিটে পদত্যাগী মন্ত্রীদের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।
এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মোশাররফ হোসাইন ভূইঞাসহ ৪৫ জন পদত্যাগী মন্ত্রীকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী ড. ইউনূস আলী আকন্দ বাংলামেইলকে বলেন, ‘সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের এক দফার ‘ক’ উপদফায় বলা আছে, ‘কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হবে যদি তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন’। সে হিসেবে মন্ত্রীদের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। তারা দায়িত্ব পালনের বৈধতা হারিয়েছেন।’
এ যুক্তিতে বিএনপি ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা বলছেন, এখন মন্ত্রীদের তাদের গাড়ি থেকে পতাকা নামিয়ে পদ থেকে সরে যাওয়া উচিৎ। তাদের সব কর্মকাণ্ড এখন অবৈধ। কিন্তু আইনমন্ত্রী বলছেন, রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে ওই পদত্যাগপত্র না দেয়ায় তা কোনো ‘পদত্যাগপত্র’ নয়। সুতরাং মন্ত্রীদের নিয়মিত কাজ চালিয়ে যেতে কোনো সাংবিধানিক বাধা নেই।
এর আগে গতকাল বুধবার আইনজীবী ড. তুহিন মালিক মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সব মন্ত্রীদের আইনি নোটিশ পাঠান। তিনি নোটিশে মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক যোগে সব মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র দেন। অবশ্য তার আগেই দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তসহ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন।
এ পদত্যাগ নিয়ে সাংবিধানিক বিতর্ক শুরুর পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বললেন, পদত্যাগপত্রে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত মন্ত্রীরা স্বপদে বহাল থাকবেন।