আত্মগোপন থেকে ফিরছেন বিএনপি নেতারা

0
122
Print Friendly, PDF & Email

দলের পাঁচ নেতাকে আটকের পর আত্মগোপনে গিয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিলেও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লাপাত্তা ছিলেন। মুঠোফোনও বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেকে। কয়েকদিন কোনো সভা-সমাবেশেও দেখা যায়নি তাদের। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ফের প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন আত্মগোপনে যাওয়া নেতারা। দলের কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, দলের চেয়ারপারসনের নির্দেশেই রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে আত্মগোপনে ছিলেন তারা।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দুটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেখা গেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান ও মঈন খানকে। যারা মুঠোফোন বন্ধ রেখেছিলেন তারা তা খুলেছেন।

জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘সরকার বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে যে হয়রানি চালাচ্ছে তা স্বৈরাচারী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। মূলত বিরোধীদলের আন্দোলন কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতেই সরকার এ কাজ করছে। তাই রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নিরাপদ স্থানে ছিলেন। তবে দলের কার্যক্রম ও কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন তারা।’

এর আগে গত ৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ১২ জন নেতাকে ফোন করলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামকে ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি নিজেদের বাড়িতেও ছিলেন না তারা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ৮ নভেম্বর বিকালে রবিবার থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই সংবাদ সম্মেলনে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন ফখরুল। কিছুক্ষণ পরই পুলিশ আটক করে স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও এম কে আনোয়ারকে। এরপর থেকে ফোন বন্ধ করে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান মির্জা ফখরুল।

শেয়ার করুন