ভারতের সংকেত পেলেই সর্বদলীয় সরকার ঘোষণা?

0
127
Print Friendly, PDF & Email

‘নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার’ গঠনে মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র জমা নেয়া হলেও কত তারিখের মধ্যে ওই সরকারের কথা ঘোষণা করা হবে, তার কোনো নির্দিষ্ট ঘোষণা নেই। এ নিয়ে এর মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে এখনো অনেকে জানেন না ‘সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভার’ ঘোষণা কখন হবে, কাদের ঠাঁই হচ্ছে সেখানে। আগামী নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক প্রভাবশালী উপদেষ্টাসহ আওয়ামী লীগের দু’তিনজন নেতা ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে আলোচনা করছেন না বলে সূত্র জানায়।

মহাজোটের দুজন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে আলাপ করে প্রিয় দেশ জানতে পারে, ‘সর্বদলীয় সরকারের’ ঘোষণার আগে ভারতের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছে সরকার। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের জোটের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। দেশগুলো থেকে দুই নেত্রীর মধ্যে সমঝোতার তাগিদ দেয়া হচ্ছে। সমঝোতা না হলে ‘সর্বদলীয় সরকারে’ বিদেশিদের সমর্থন পাওয়া যাবে না।

আওয়ামী মনে করছে, ‘সর্বদলীয় সরকারে’ ভারতের সমর্থন পেলে আর কয়েকটি প্রভাবশালী দেশের সমর্থন পাওয়া যাবে। তাই ভারতের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি থেকে ওমরাহ হজ শেষে ফেরার পর নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হতে পারে। আগামী ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন করতে সৌদি যাওয়ার কথা রয়েছে। ২৩ নভেম্বর তার দেশে ফেরার কথা। তবে সৌদি যাওয়ার তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি সৌদি থেকে দেশে ফিরলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে গঠন হতে পারে ‘সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভা’।

সূত্র জানায়, ‘নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায়’ কারা থাকবেন, সবার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত করেননি শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের বাইরের যারা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন, তাদের তালিকা নিয়ে সূক্ষ্ম হিসাব-নিকাশ কষতেই দেরি হচ্ছে মন্ত্রিসভার পুনর্গঠন। তবে বর্তমান মন্ত্রিসভার যারা অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন, তারা এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত পেয়েছেন। অনেকেই মন্ত্রিসভায় থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছেন। তারা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের বড় বড় প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে বলছেন, তারা না থাকলে এ প্রকল্পগুলোর কাজ ব্যাহত হবে। এজন্য তারা অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভায় থাকতে চান।

উল্লেখ্য, ‘নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা’ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মহাজোটের মন্ত্রীরা গত ১১ নভেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দেন।

শেয়ার করুন