আগের ম্যাচেই সিরিজ নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল। আনুষ্ঠানিকতার পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতেও পাকিস্তানকে ১১৭ রানের বিরাট ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সিরিজটি তাই ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে সফরকারীরা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের অপরাজিত শতকে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৬২ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ভালো হয়নি। চতুর্থ উইকেটে ফাফ দু প্লেসির সঙ্গে ডি ভিলিয়ার্স ৬২ রানের জুটি গড়লেও রান তোলার গতি ছিল বেশ মন্থর।
দু প্লেসির (৪৬) বিদায়ের পর ডেভিড মিলারও (১৫) তাকে দ্রুত অনুসরণ করলে অস্বস্তিতে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় রায়ান ম্যাকলারেনের (২৭) সঙ্গে ডি ভিলিয়ার্সের ৮৩ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে লড়াইয়ের ভিত গড়ে দেয়।
প্রথম দিকে মন্থর ব্যাটিং করলেও শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ৭০ বলে প্রথম অর্ধশতকে পৌঁছানো এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় অর্ধশতক আসে মাত্র ২৯ বলে। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে ১১৪ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অপরাজিত ১১৫ রানের সুবাদে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ডি ভিলিয়ার্স। তার ১০২ বলের অধিনায়কোচিত ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা।
পাকিস্তানের পক্ষে সাঈদ আজমল ৩ উইকেট নেন ৪৫ রানে।
জবাবে পেসারদের তোপে ৩৫ ওভার ৩ বলে ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
১৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়া পাকিস্তান কখনোই জেতার সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি। শোয়েব মাকসুদ (৫৩) ও উমর আকমল (৩০) চেষ্টা করলেও লক্ষ্যের ধারে কাছে যেতে পারেনি পাকিস্তান।
৩৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার ওয়েইন পার্নেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২৬৮/৭ (আমলা ৩, ডি কক ৩৪, দু প্লেসি ৪৬, ডুমিনি ২, ডি ভিলিয়ার্স ১১৫*, মিলার ১৫, ম্যাকলারেন ২৭, পিটারসন ২, পার্নেল ৮*; আজমল ৩/৪৫, জুনায়েদ ২/৫৭, হাফিজ ১/১০, ইরফান ১/৫২)
পাকিস্তান: ৩৫.৩ ওভারে ১৫১ (হাফিজ ৬, শেহজাদ ২, মাকসুদ ৫৩, আমিন ৫, মিসবাহ ১৮, আকমল ৩০, আফ্রিদি ৯, সোহেল ১৫, আজমল ১, ইরফান ০, জুনায়েদ ১*; পার্নেল ৩/৩৬, ডুমিনি ২/১৪, ম্যাকলারেন ২/২১, ফিল্যান্ডার ২/২৩, সোতসোবে ১/২৮)
ম্যাচ সেরা: এবি ডি ভিলিয়ার্স।
সিরিজ সেরা: রায়ান ম্যাকলারেন।