এবার মঙ্গলগ্রহে ইগুয়ানা!

0
153
Print Friendly, PDF & Email

কিছুদিন আগে লোহিত গ্রহ মঙ্গলে নাসার মহাকাশ গবেষণা যান কিউরিসিটির পাঠানো ছবিতে দেখা যাওয়া গ্রহটির ভূপৃষ্ঠের একটি পাথুরে জায়গায় টিকটিকি সাদৃশ্য বস্তুর উপস্থিতি সবাইকে অবাক করেছিল। অনেকেই তখন বলেছিল যে প্রকৃতির অদ্ভুত কারিশমায় দূর থেকে কোনো পাথরকে হয়তো টিকটিকির মতো লেগেছিল।

কিন্তু সেই বিতর্ক আবার উসকে দিলো কিউরিসিটির পাঠানো আরেকটি ছবি। এই ছবিতে মঙ্গলের ভূ পৃষ্ঠে এবার হুবহু ইগুয়ানার (আমেরিকার উষ্ণমণ্ডলীয় বনে থাকা গুইসাপ জাতীয় একধরনের বড় বৃক্ষচারী সরীসৃপ) মতো একটি পাথর দেখা গেছে। যা এরইমধ্যে সবাইকে চমকিত করেছে।

ভিনগ্রহবাসীসহ বিজ্ঞানের নানা ব্যাখ্যা না খুঁজে পাওয়া বিষয়ের দিকে তীক্ষ্ণ চোখ রাখা গবেষকরাই মঙ্গলগ্রহের এই ইগুয়ানার আবিষ্কারক। গত ০৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউএফও বিষয়ক ব্লগিং সাইটে এই ছবি প্রথম প্রকাশ করা হয়। পরে এই ছবি দেশটির বেশ কয়েকটি পত্রিকায় গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ পায়।
ইউএফও বিষয়ক ওই ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা স্কট সি ওয়ারিং জানান, গত জানুয়ারিতে কিউরিসিটি মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠ থেকে এই ছবিটি তোলে। ছবিতে ইগুয়ানার শুধু শরীরই নয় একটু ভালো করে খেয়াল করলে এর গলার থলিটিসহ ঠোঁট, নাকের ফুটো এমনকি খুলে রাখা বড় চোখও দেখা যায়।

এদিকে অবিশ্বাসীরা এক কথায় স্কটের ছবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, অনেক আগেই বিজ্ঞানীরা বলে দিয়েছেন, একসময় মঙ্গল গ্রহে জলের অস্তিত্বের থাকলেও বর্তমানে গ্রহটি পুরো উষর। মরা নির্জীব ওই লোহিত ভূমিতে কোনো জীবতো দূরের কথা এককোষী অ্যামিবাও বেঁচে নেই। ছবিতে ইগুয়ানা সাদৃশ্য যে জিনিসটির কথা বলা হচ্ছে তা আসলে প্রকৃতির খেয়ালেসৃষ্ট পাথর।

তবে এই যুক্তিরও তীব্র সমালোচনা করেছেন স্কট। কানাডিয়ান একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা ছবিগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেছি। আমি এমন কোনো পাথর আজ পর্যন্ত দেখিনি যা চারটি ছবিতে চারবার স্থান বদল করেছে এবং পঞ্চম ছবিতে উধাও হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে ক্যালিফর্নিয়া ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজির মঙ্গলগ্রহ বিষয়ক বিজ্ঞান ল্যাবটরির প্রধান জন গ্রটজিনজার বলেন, ‘আমরা হয়তো খুব প্রাচীন জিনিস চিহ্নিত করেছি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ধূসর মঙ্গল একসময় প্রাণের জন্য উপযোগী ছিল। কিউরিসিটি বর্তমানে মঙ্গলে আবিষ্কার ও অন্বেষণের মিশনে আছে। একই সঙ্গে আমরা একটি দল হিসেবে অনুভব করি সামনের মাস ও বছরগুলোতে আমাদের সামনে এখনো বহু উত্তেজনাকর আবিষ্কার বাকি রয়েছে।’

শেয়ার করুন