শূন্য পেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
140
Print Friendly, PDF & Email

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, ‘বার বার আল্টিমেটাম দিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাগর-রুনির হ্ত্যাকারীদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদায় বেলায় তাকে কোনো নম্বর দিতে পারলাম না। শূন্য দিলাম।’

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাগর-রুনির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের বিচার করতে পারেননি। আপনি ও আপনার পুলিশ কর্তৃপক্ষ এর কোনো সুরাহা করতে পারেনি। আপনি সরকার ও গণমাধ্যমকে প্রশ্নবোধকের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন।’

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড সাংবাদিক সমাজকে একত্রিত করেছে। আর আমরা সবাই মিলে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। যতদিন এই বিচার না হয়, ততোদিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে, আমাদের ক্ষোভ থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দুঃখিত যে হরতালের নামে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। সারাদেশে আজ একই অবস্থা। রাজনৈতিক দল তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত করবে, আর আমরা এই তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেব। কিন্তু এই রকম পরিস্থিতি হলে আমাদের পেশার কোনো নিরাপত্তা থাকবে না। আমরা চাই আমাদের পেশার নিরাপত্তা, সংলাপের মাধ্যমে দেশে একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করুক।’

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করে ডিআরইউ সভাপতি শাহেদ চৌধুরী বলেন, ‘তিনি মেঘের দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আমি সমাবেশে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কথার বাস্তবায়নের দাবি জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝি না কোন রহস্যের কারণে সাগর-রুনির হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। এই রহস্যে ভেদ করে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। নইলে আগামী নির্বাচনে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।’

তিনি জানান, সাগর-রুনির বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। ২৯ নভেম্বর ডিআরইউ এর বার্ষিক সভার পর পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা শেখ রাসেলের কথা আজও স্মরণ করেন। কিন্তু শেখ রাসেলের মতো একটি শিশু সাগর-রুনির সন্তান মেঘ। তিনি মেঘের নাম স্মরণ করেন না। আর প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, তিনি নাকি বেডরুমের নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। আমাদের দাবি, আমাদের পেশার নিরাপত্তা প্রধানমন্ত্রীকেই নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, আমাদের এত আন্দোলনের পরও সাংবাদিকদের ওপর হামলা হচ্ছে। আমরা সন্দিহান যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা। তারা প্রশ্ন তোলেন, কোন রহস্যের কারণে সাগর-রুনীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না?

ডিআরইউ সভাপতি শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, অপরাংশের সভাপতি ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আব্দুল জলিল ভূইয়া, অপরাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।

শেয়ার করুন