তারেক-মামুনের অর্থ পাচার মামলা : আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু

0
162
Print Friendly, PDF & Email

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অর্থ পাচার মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে।

সোমবার বেলা ১২টা ৫মিনিটে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেনের আদালতে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সূচনা বক্তব্যে বলেন, হরতালের দিন আজ আমি আদালতে হাজির হয়েছি। এ মামলার মূল আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করবো আমি। এর আগে অন্যান্য আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন করবেন। পরে অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম কোয়েল আসামিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।

গত ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল। ওইদিনই যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।

আজ আসামিপক্ষে উপস্থিত আছেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়াসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী।

গত ৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর মামুনের পক্ষে ৫ জন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে ৩ নভেম্বর অবশিষ্ট ৩ সাফাই সাক্ষী হাজির করতে না পারায় আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্তি ঘোষণা করে যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন।

গত ২৭ অক্টোবর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ৮ জন সাফাই সাক্ষী মঞ্জুর করেন আদালত। যদিও মামুনের পক্ষে ২৪ জন সাফাই সাক্ষীর একটি তালিকা জমা দেয়া হয়েছিলো।

এর আগে গত ২৪ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গিতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের নিকট থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন এই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা দেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

শেয়ার করুন