নবম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশন বিরোধীদলের অনুপস্থিতিতেই শুরু হয়েছে। রবিবার বিকাল ৪টা ৪৮ মিনিটে কোরাম সংকটের কারণে ১৬ মিনিট দেরিতে স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী সভাপতিত্বে নবম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের কার্যক্রম কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এ অধিবেশন দুর্নীতি দম কমিশন (দুদক) বিল পাস হতে পারে।
দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী প্রথমে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর টেলিলে উত্থাপন। জরুরি জন-গরুত্বপূর্ণ বিষযে মনোযোগ আকর্ষণ, কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন, আইন প্রণয়ন কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল-২০১৩, বাংলাদেশ তাত ভোড বিল-২০১৩, আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন বিল-২০১৩) বিলগুলি রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে। এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিল-২০১২, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) বিল-২০১৩ এ দুটি বিল পাস হতে পারে। এটি চলতি বছরের চতুর্থ অধিবেশন। সংবিধান অনুযায়ী এটি মহাজোট সরকারের শেষ অধিবেশনও।
এদিকে বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর সংসদের ১৯তম অধিবেশন শেষ হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিলো কার্যউপদেষ্টা কমিটির। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। পূর্ব কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো হলো। তবে সংসদ অধিবেশন কবে শেষ হবে এ বিষয়ে স্পিকার কিংবা সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির কাছ থেকে কিছুই জানা যায়নি।
এ অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো সম্পর্কে গত বুধবার সংসদের কার্যালয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকের জানান, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হয়নি এখনও। এজন্য অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ছে। তবে কতদিন পর্যন্ত চলবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
একটি সূত্র জানায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করা পর্যন্ত চলতি অধিবেশন পর্যন্ত চলতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রীলংকা সফর শেষ করে সংসদের সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন। ১৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সংসদে কার্য উপদেষ্টা কমিটির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত অধিবেশন চলার কথা। গত ২৩ অক্টোবর কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে অধিবেশন শুরুর দিন ১২ সেপ্টেম্বর কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত অধিবেশন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই দিন সংসদের চলতি অধিবেশন শুরু হয়। চলতি অধিবেশনের বুধবার পর্যন্ত ১৯ কার্যদিবসের মধ্যে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল মাত্র ১দিন সংসদে উপস্থিত যোগ দিয়েছিল। গত ২৩ অক্টোবর বৈঠকে যোগ দিয়ে নির্দলীয় সরকারের ব্যাপারে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রূপরেখা সংসদে উপস্থাপন করেন।
এদিকে গত ২৪ অক্টোবরের পর থেকে নির্বাচনকালীন সময় শুরু হওয়ায় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা সংসদের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকছেন। আগে সংসদে উপস্থিত থাকলেও বিল পাস, প্রশ্নোত্তরসহ অন্যান্য বিধিতে নোটিশ দিতো। কিন্তু ২৪ অক্টোবরের পর থেকে এসব নোটিশ থেকেও বিরোধী দল বিরত রয়েছে। ২৪ অক্টোবরের পর সংসদ অধিবেশন চলতে পারে না বলে ইতিপূর্বে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এ নিয়ে বিশেজ্ঞদের মধ্যেও বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৪ অক্টোবরের পর সংসদও চলতে পারে এবং আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সংসদ ও সকল সংসদ সদস্যদের সদস্য পদ বহাল থাকবে।
বর্তমান সংসদের যাত্রা শুরু হয়েছিলো ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি।







