‘হরতালের কারণে মামলার কার্যক্রম বন্ধ হবে না। হরতাল তো আপনারাই দিয়েছেন।’ হরতাল সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাকি অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি রবিবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের নায়েবে আমির একেএম ইউসুফের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করেন।
আজ জামায়াত নেতা একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য শেষে তার জেরার জন্য আসামিপক্ষের জুনিয়র আইনজীবী গাজী তামিম সময় আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘হরতাল তো আপনারাই দিয়েছেন।’ তখন আইনজীবী বলেন, ‘আমরা কীভাবে হরতাল দেব?’
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব আপনাদের আইনজীবী।’ তামিম বলেন, ‘জি।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘উনি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। আর জামায়াত বিএনপির সঙ্গে আছে সুতরাং বিএনপির হরতাল দেয়া মানে আপনারাই দিয়েছেন।’
এ সময় ট্রাইব্যুনাল জোর দিয়ে বলেন, ‘রিক্সাশায় করে আসবেন। রিক্সাশায় আসলে কোনো সমস্যা হবে না। গাড়িতে করে আসলে ভয় থাকতে পারে।’
আগামী পরশু অবশ্যই এ মামলা চলবে এই বলে আজকের কার্যক্রম মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে, জবানবন্দি শেষে সাক্ষী আসামি একেএম ইউসুফের কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে এসে ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘অনেক বছর আগে দেখেছিলাম তখন তিনি আরো ফর্সা ও মোটা ছিলেন।’
জবানবন্দিতে সাক্ষী বলেন, ‘আমি স্থানীয় লোকদের কাছে শুনেছি, একাত্তর সালের ১৯ জুলাই ইউসুফ লঞ্চযোগে রায়েন্দা বাজারে এসে রাজাকারদের নিয়ে বৈঠক করছিল। এমন সময় সালাম খান নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা রাজাপুর থেকে রায়েন্দা বাজারের দিকে আসছিল। তাকে দেখে রাজাকাররা ধরে গুলি করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।’