অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি আগামি ১৭ নভেম্বর। ওইদিন একই সঙ্গে এলানের জামিনের শুনানিও অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।
জামিনে থাকা আদিলুর রোববার ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হলেও হরতাল থাকায় এলানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
গত ১০ আগস্ট আদিলুর রহমানকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ উত্তরের সাইবার ক্রাইম টিম তথ্যপ্রযুক্তি আইন (আইসিটি অ্যাক্ট) লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।
গত ১১ আগস্ট তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাইলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ‘অধিকার’ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আদালতে জমা দেয়া অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
ওইদিন অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামি নাসির উদ্দিন এলান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শামসুল আলম।
গত ৮ অক্টোবর বিচারপতি বোরহানউদ্দিন ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে ৬ মাসের জামিন পান আদিলুর।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর আদিলুরের জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আশরাফুল আলম আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেন।
আদালতে দাখিল করা অভিযোগ হতে জানা যায়, আসামিরা তাদের পরিচালনাধীন ‘অধিকার’ এর নামে গত ৫ মে শাপলা চত্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে। এর ফলে দেশ-বিদেশে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়।
প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, ৫ মে দিবাগত রাত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হেফাজত কর্মীদের শাপলা চত্বর ত্যাগ করতে অনুরোধ করে। কিন্তু তারা শাপলা চত্বর ত্যাগ না করে পুলিশের উপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা ও কয়েকজনকে আহত করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অধিকারের ৬১ জনের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এর ক্রমিক সংখ্যা ১০ নেই। অর্থাৎ ৯ এর পর ১১ দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই ব্যক্তিকে দু’বার করে দেখানো হয়েছে পাঁচটি ক্ষেত্রে। যেমন ক্রমিক ৭ ও ৯, ১৬ ও ৫৮, ১৮ ও ২০, ৬ ও ২১ এবং ২৩ ও ৪২।
এছাড়া তালিকার ৩০ নম্বরে আল আমীন, ৩৬ নম্বরে জাহিদুল ইসলাম সৌরভ, ৫৬ নম্বরে জসিম ও ৫৮ নম্বরে সোহেল জীবিত আছেন। ক্রমিক নম্বর ৫৭ কামাল উদ্দিন হার্ট এটাকে মারা গেছেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ক্রমিক নম্বর ১২ মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, ক্রমিক নম্বর ১৩ লুৎফর রহমান, ক্রমিক নম্বর ২৬ মাওলানা মোহাম্মদ হাসান, ক্রমিক নম্বর ২৯ হাফেজ লোকমান, ক্রমিক নম্বর ৩১ মাওলানা জুবায়ের, ক্রমিক নম্বর ৩৫ বাবু গাজী, ক্রমিক নম্বর ৬০ জালাল আহম্মেদ এ ৭ জন সম্পর্কে প্রদত্ত তথ্য সঠিক নয়।
এছাড়াও ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৬ জন এবং ১১ জন জীবিত কিংবা মৃত এ সম্পর্কে কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। কাল্পনিকভাবে এদের নাম তালিকার সন্নিবেশিত করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।