ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ন ভাইবোনের মধ্যে সে ছিল সবথেকে বড় | বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত মুম্বইয়ে | সপ্তদশী ওই কিশোরী মন দিয়ে বসেছিল ,’দেশের বাড়ির’ এক প্রতিবেশীকে |
তাদের ’দেশ’ ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক শহরে | সেখানেই ওই কিশোরী গাজিপুরের কোমলপুর এলাকার বাসিন্দা ১৯ বছরের এক কিশোরের সঙ্গে পালিয়ে যায় | দুজনে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে | তারপর চলে আসে ফের মহারাষ্ট্রে | সংসার পাতে ভায়ান্দরের উট্টানে |
কদিন পরে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে সপ্তদশী | গোপনে | কিন্তু জানতে পেরে যায় বাবা | ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি যোগাড় করে ফেলে মেয়ের নতুন ঠিকানা | তারপর এক বন্ধুকে নিয়ে হাজির হয় সেখানে |
শুরু হয় মেয়েকে বোঝানো | বলা হয় পরিবারে ফিরে আসতে | কিন্তু বাবার কথায় রাজি হয়নি কিশোরী | তার মাশুল তাকে দিতে হল জীবন দিয়ে |
শুধু অনার কিলিং নয় | অভিযোগ, খুন করার আগে সে ধর্ষণ করে মেয়েকে | দচকুলপাড়ার জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় ওই কিশোরীকে | তারপর প্রথমে নিজে, পরে বন্ধুকে বলে মেয়েকে ধর্ষণ করতে | দুজনের কাছে মোট তিনবার ধর্ষিতা হয় ওই হতভাগ্য |
অত্যাচার শেষে কিশোরীর ওড়না দিয়েই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে |
এই ঘটনা পুলিশের গোচরে আসে এক ওয়েটারের মাধ্যমে | মদ্যপ অবস্থায় তাকে সব কথা বলে কিশোরীর বাবা |
পরে ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তিকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ | মেয়েটির স্বামীকেও খুঁজছে পুলিশ | কিন্তু পেশায় ঠিকে শ্রমিক, ১৯ বছরের কিশোর এখন পলাতক |