পিলখানায় বিডিআর হত্যাযজ্ঞের মামলার রায়ে রাজনৈতিকভাবে সুবিধায় আছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাচনের আগে এ রায় ঘোষণার কারণে ভোটাদের মধ্যে এর প্রভাব পড়বে বলে ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। শনিবার ইকোনমিস্টের মুদ্রণ সংস্করণে প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে।
এছাড়া পিলখানার রায় সেনাবাহিনীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘মিউটিনি অ্যান্ড রিভেঞ্জ : অ্যা মাস কনভিকশন অব মিউটিনিয়ারস কামস অ্যাট অ্যা পলিটিক্যালি ডেলিকেট মোমেন্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ভয়াবহতা, সে সময় সামরিক অভিযানে সরকারের আপত্তি, কারাবন্দি অবস্থায় বিদ্রোহীদের মৃত্যুর অভিযোগ এবং ১৫২ জনের ফাঁসির রায়ের প্রসঙ্গ এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়তো কার্যকর হবে না, কেননা আপিল নিষ্পত্তিতেই কয়েক মাস লেগে যাবে।
“কিন্তু এই রায় শেখ হাসিনাকে অতিপ্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে পারে। কারণ বিদ্রোহীদের এই দণ্ড সেনাবাহিনীতে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।”
এদিকে প্রতিবেদনের শেষ অংশে বিএনপির তুমুল জনপ্রিয়তা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে পরস্পর বিরোধী অবস্থান এবং এসবের ফলে নির্বাচন ভণ্ডুল ও রাজনৈতিক সংহিসতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচারের প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এমন জঘন্য অপরাধের বিচারের জন্য বাহবাসূচক কোন বাক্য ব্যবহার করতেও দেখা যায়নি। উপরন্তু বিচারে আন্তর্জাতিক মানদ- মানা হয় উল্লেখ করে রায়কে খাটো করার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে।
তবে এ খবর লেখা পর্যন্ত ইকোনমিস্টের এ প্রতিবেদন সম্পর্কে হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।