আচরণবিধি প্রকাশ রোববার

0
156
Print Friendly, PDF & Email

আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের আচরণবিধির চূড়ান্ত খসড়া এক মাস কঠোর গোপনীয়তার পর রোববার প্রকাশ পাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে। প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ৭ দিনের মধ্যে যে কোনো নাগরিক আচরণবিধির ওপর তাদের মতামত জানাতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে জানান, আচরণবিধি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার সুযোগ নেই আপাতত। আগামীকাল রোববার থেকে যে কেউ কমিশনের ওয়েবসাইটে মতামত জানাতে পারবেন। সবার মতামত পাওয়ার পর ফের কমিশনের বৈঠকের মাধ্যমে তা চূড়ান্ত রুপে প্রকাশ করা হবে। জাবেদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতাসহ সরকারি সুবিধাভোগীদের বেলায়, জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের যে বিধিবিধান ছিল, জাতীয় নির্বাচনের জন্য তা বহাল রাখা হয়েছে।

নির্বাচনপূর্ব সময়ে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হলেও, তারা রাজনৈতিক কাজে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন না বলে তিনি জানান। তিনি এও জানান, ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে তারা রাজনৈতিক যেকোনো কর্মসূচিতে যোগদান করতে পারবেন। খসড়া আচরণবিধিতে যা আছে; ১- নির্বাচন পূর্বসময় প্রকল্প অনুমোদন, ভিত্তিস্থাপন ইত্যাদি নিষিদ্ধ। অর্থাৎ নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলযুক্ত কোনো প্রকেল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না।

২: নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি সেচ্ছাধীন সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল হতে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলের কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ প্রদান বা অর্থ অবমুক্ত করেতে পরবে না।

৩: কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃতব্য পোস্টার সাদা-কালো রঙের ও আয়তন অনধিক ৪৫ সেন্টিমিটার থেকে ৬০ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার সাদাকালো রঙের ও আয়তন অনধিক ১ (এক) মিটার ৩ (তিন) মিটার এবং পোস্টারে বা ব্যানারে প্রার্থী তাহার প্রতীক ও নিজের ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাতে পারেবে না।

৪: নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত সাধারণ ছবির আয়তন শব্দগুলির পর ২৩ দৈর্ঘ্য ১৮ এর পরিবর্তে ৪৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ৬০ সেন্টিমিটার শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হবে।

৫: কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার হয়ে অন্য কোনো ব্যক্তি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও মুদ্রণের তারিখ ছাড়া কোনো পোস্টার লাগাতে পারবেন না।

৬: কোনো প্রার্থী বা তার হয়ে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হয়ে বিরোধী অবস্থান নিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে কোনো প্রকার বলপ্রয়োগ বা অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না।

আচরণবিধির ১৪ ধারায় পরিবর্তন

এতে আচরণবিধির ১৪ ধারায় নির্বাচনী প্রচারণায় বলা হয়েছে (১) সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ তাদের সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচন কর্মসূচি যোগ করতে পারবেন না। (২) তাদের নিজেদের বা অন্যদের হয়ে সরকারি যান, সরকারি প্রচারযন্ত্রও ব্যবহার এবং সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা বা কোনো স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না। (৩) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে কর্তৃত্ব অথবা এ সংক্রান্ত সভায় যোগ দিতে পারবেন না। (৪) কোনো প্রার্থী স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদে আগে মনোনীত হলে নির্বাচনপূর্ব সময়ে তা অকার্যকর থাকবে। (৫) সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ভোট দেওয়া ছাড়া ভোটের দিনে নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রবেশ এমনকি নিজে প্রার্থী না হলে ভোট গণনার সময় কেন্দ্রে প্রবেশ বা উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

শেয়ার করুন