নিজামীর পক্ষে স্বাক্ষ্য গ্রহণ পেছালো

0
177
Print Friendly, PDF & Email

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী পক্ষে সাফাই স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন আগামী মঙ্গলবার ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এছাড়া, বুধবার থেকে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হবে বলেও জানিয়েছে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১।

নিজামীর ছেলে মামলার চতুর্থ ও শেষ সাফাই সাক্ষী ব্যারিস্টার নজিব মোমেন হরতালে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে স্বাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আসতে না পারায় স্বাক্ষ্যগ্রহণ মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

একই কারণে রোববারও এ মামলায় স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা যায়নি।

বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আসাদ উদ্দিন সময় আবেদন করলে এক দিনের সময় মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।

নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নজিব মোমেন মামলার চতুর্থ সাক্ষী হিসেবে গত ২৪ অক্টোবর সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন। পরে তার সাক্ষ্য অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২১ অক্টোবর আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথমদিন পাবনা জেলা আদালতের আইনজীবী মুক্তিযোদ্ধা কে এম হামিদুর রহমান (৬৬) সাক্ষ্য দেন। দ্বিতীয় দিন সাক্ষ্য দেন আরেক মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম (৬২)। তৃতীয় সাফাই সাক্ষী আবদুস সালাম মুকুল (৫৮) দ্বিতীয় সাক্ষীর বক্তব্যকে সমর্থন করলে তাতে সম্মতি দেন প্রসিকিউটর। জবানবন্দি শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী ও সৈয়দ হায়দার আলী।

নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চার জন সাফাই সাক্ষীর অনুমতি দিয়ে ৬ অক্টোবর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

জামায়াত নেতা নিজামীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রসিকিউশনের সাক্ষী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদসহ মোট ২৬ সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিপক্ষ এসব সাক্ষীদের জেরা করেছে।

গত বছরের ২৮ মে নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

শেয়ার করুন