প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যদি-টদির কোনো সুযোগ নেই। যথাসময়ে তফসিল দিয়ে নির্বাচন হবে। এ ছাড়া ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনকালীন সময়ে সংসদ বহাল রাখার বিষটিকে কোনো সমস্যা হিসেবে দেখছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রকিবউদ্দিন বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যে কোনো বিষয়কে আমরা সতর্কতার সঙ্গে দেখছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক বিষয়কে সতর্কতার সঙ্গে দেখছি। আমরা নির্বাচনে সকল দলকে সমান সুযোগ দেয়ার জন্য লেভেল প্লেয়িং ঠিক রাখার চেষ্টা করছি।
সিইসি বলেন, গোপন ভোটকক্ষ মোটা কাপড় দিয়ে ঢাকার চিন্তা করছি আমরা। কারণ, কাঠ দিয়ে তৈরি করলে বহন করা ঝামেলা হয় এবং রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায়। তাই সহজে বহনযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার বিষয়টি আমরা দেখছি।
আচরণবিধি সংশোধন সম্পর্কে তিনি বলেন, আচরণবিধি সংশোধন নিয়ে কাজ চলছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
নির্বাচন পরিচালনায় কমিশনের বাড়তি শক্তির প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, সংবিধান আমাদের আমাদের বড় শক্তি। সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো সংস্থা থেকে আমরা সহযোগিতা চাইতে পারি। বর্তমানে আমাদের বাড়তি কোনো শক্তির প্রয়োজন নেই।
রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ডিসিদের নিয়োগ করলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা সেইভাবে দেখছি না। যারা যোগ্য এবং অভিজ্ঞ তাদের দিয়ে নির্বাচন করা হবে। যারা বিশেষ কোনো দল বা ব্যক্তির সুবিধা দেখবে তাদের দিয়ে নির্বাচন করা হবে না। তবে তফসিলের আগে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন নেই।
এনডিপির নিবন্ধ বিষয়ে সিইসি বলেন, ২০০৮ সালে নিবন্ধনের আবেদন করলে দলটির তথ্য ভুল থাকায় তাদের নিবন্ধ দেয়া হয়নি। তারা আদালতে মামলা করলে গত ১ অক্টোবর আদালত আমাদের একটি চিঠি দিয়ে জানান, এনডিপির তথ্যগুলো পুনরায় যাচাই করে তাদের বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়। এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে স্থানীয় ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।