অবিশ্বাসের উঁচু দেয়াল ভেঙে সমঝোতার সেতু তৈরি করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২য় কাঁচপুর, ২য় মেঘনা এবং ২য় গোমতী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের স্থান পরিদর্শনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী ২য় সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতু পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় সেতুগুলোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। আগামী ৩১ অক্টোবর ২০১৩ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন বলে মন্ত্রী জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আওতায় ৩৯৬.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের কাঁচপুর সেতুসহ ৭০৩.৫মিটার এপ্রোচ সড়ক, ৯৩০মিটার দীর্ঘ মেঘনা সেতুসহ ৮৭০মিটার এপ্রোচ সড়ক এবং ১৪১০মিটার দীর্ঘ গোমতী সেতুসহ ১০১০মিটার এপ্রোচ সড়ক নির্মিত হবে। ইতোমধ্যে জাইকা-র সাথে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৮শত ৯৪ দশমিক ৫ কোটি ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪ শত ৮৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে জাইকা-র প্রকল্প সহায়তা ৬ হাজার ৪ শত ২৯ কোটি টাকা এবং জিওবি ২ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। সেতুগুলোর নির্মাণ, পুনর্বাসন ও পরামর্শক সংক্রান্ত সম্পূর্ণ ব্যয় জাইকা-র অর্থায়নে সম্পন্ন হবে এবং ভ্যাট-ট্যাক্স, সিডি/ভ্যাট, প্রশাসনিক ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত ব্যয় জিওবি খাত হতে নির্বাহ করা হবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়।
এসময় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. হাবিবুল হক, ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাহাবুদ্দিন খানসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।