তাবলিগ জামাতের ইজতেমার জন্য ২০১৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে। এসব পরীক্ষার সময়সূচি এক থেকে দেড় সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র গতকালনয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মন্ত্রণালয়ের আদেশেই পরীক্ষা পেছানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি আদেশ প্রদানের বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ পাওয়া যেতে পারে। দুই বছর ধরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে। সূত্র জানায়, কাকরাইল মসজিদের দেয়া একটি চিঠির সূত্র ধরেই আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এর সাথে দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটেরও একটি যোগসূত্র থাকতে পারে। কারণ আগামী জানুয়ারিতে পরবর্তী জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের। ২৪ অক্টোবর সরকারের সাংবিধানিক মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকে তার নিশ্চয়তা না থাকার প্রেক্ষাপটে আসন্ন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ নিয়ে এ ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটেই পরীক্ষা পেছানোর চিন্তাভাবনা চলছে। সূত্রটি জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ও সচিবের বরাবরে কাকরাইল মসজিদের আহলে সুরা কর্তৃপক্ষের প্রেরিত এক চিঠিতে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ১৩ সালে অনুষ্ঠিত ইজতেমায় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ২০১৪ সালের ইজতেমার তারিখ দুই ভাগে ২৪ জানুয়ারি এবং ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। ইজতেমার ওই তারিখ সারা বিশ্বে মুসলমানদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ইজতেমার তারিখের সাথে পরীক্ষার তারিখ এক হওয়ায় হাজার হাজার শিক্ষক এতে শরিক হওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। এ ছাড়া যানজট ও নিরাপত্তাজনিত কাজে ব্যাঘাত হবে। সূত্র জানায়, এরূপ প্রেক্ষাপটেই এসএসসি পর্যায়ের পরীক্ষাগুলো পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। পিছিয়ে কবে নির্ধারণ হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। একই বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অবশ্য পেছানো হচ্ছে না। এবারের এসএসসিতে পরীক্ষার্থী হবে ১৪ লাখের কাছাকাছি।