নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরোধী দলের প্রস্তাবের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিরোধী দলের প্রস্তাব অবাস্তব।’
বুধবার গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
বিরোধী দলের প্রস্তাবকে অবাস্তব আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই। কিন্তু বিরোধী দল আলোচনায় আগ্রহী নয়।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাবের জবাবে ২১ অক্টোবর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ জন উপদেষ্টা থেকে দুদল পাঁচজন করে ১০ জন এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজনকে এই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান করার প্রস্তাব করেন বিরোধীদলীয় নেতা।
একইসঙ্গে, সাংবিধানিক জটিলতা এড়াতে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার এবং সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার পদ্ধতিতে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়ার আগে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচিত করে দেয়া যেতে পারে।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব করে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের থেকে নাম চান। তবে ওই সরকার কত সদস্যদের হবে এবং এর প্রধান কে হবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব সম্বলিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের চিঠি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাসায় যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।
চিঠিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিরোধী দলের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে দ্রুত আলোচনা শুরু করতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রতি আহ্বান জানান। চিঠি গ্রহণ করে বিএনপি মহাসচিব টেলিফোন করেন তিনি।
এরপর আজ ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের ১০ জন নিয়ে এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন সম্মানিত নাগরিককে প্রধান করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠনের রূপরেখা জাতীয় সংসদে উত্থাপন করে বিরোধী দল।
এ বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান ও অনুরোধ জানায়।