প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছে অনেকে : ন্যান্সি

0
188
Print Friendly, PDF & Email

২১ অক্টোবর বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সরকারের জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দেন। এ নিয়ে কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিএনপির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে একটি পোষ্ট দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়। এ নিয়ে বাংলানিউজের সাথে কথা বলেছেন ন্যান্সি। জানিয়েছেন তার অবস্থান…

বিএনপি’র প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন আপনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ সাইট গুলোতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে?

এখানে আলোচনা সমালোচনার তো কিছু নেই। আমি আমার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছি মাত্র। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার সে অধিকার নিশ্চয়ই আছে।

সেখানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এবং আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচার বলে উল্লেখ করেছেন?

হ্যাঁ। আমি যা বিশ্বাস করি তাই বলেছি। দেশের অধিকাংশ মানুষই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। প্রধানমন্ত্রী সেটা মানবেন না। নিজের পছন্দ মতো একটা নির্বাচন দিতে চাইছেন। এছাড়া তার আরো বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আমার কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এবং স্বৈরাচার ধরনের মনে হয়েছে। আমি এখনও বলছি প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার অপব্যবহারকারী। ফেসবুকের পোষ্টটি শেয়ার করার পর অনেকেই আমাকে বলেছেন এটি মুছে দিতে বা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে। আমি সেটা কেন করব? আমি যা বিশ্বস করি তাই তো বলেছি। নিজের মতামত দেয়ার স্বাধীনতা আমার আছে। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীকে উল্লেখ করা কথায় আমি কোন অমার্জিত শব্দ ব্যবহার করিনি।

দেশের নাগরিক হিসেবে বাকি সব মানুষের মত আমিও তো ভোট দেব। লাইনে দাঁড়াব। আমার ভোটটা কোথায় যায় এটা বলা অপরাধের কিছু নয়।

রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশে ভক্তদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া নিয়ে কী ভাবছেন?
কোন ভাবনা-ই নেই। আমি আমার ভক্তদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করার কথা যেমন বলার অধিকার রাখি না, তাদেরও সেই অধিকার নেই। একজন শিল্পী ন্যান্সি একজায়গায়। আমি মানুষ ন্যান্সি অন্য জায়গায়। আরেকটা কথা বলি। আমাদের বলা হয় পাবলিক ফিগার। তাই শুধু আমাদের কাজের খবর নয়, কোথায় কী কীভাবে করি তার প্রতিও আগ্রহী শ্রোতারা। তো সব ব্যাপারে যদি আমাকে তাদের কাছে জবাব দিতে হয়, তবে রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশ কেন নয়?

বিএনপির রাজনীতির সাথে আপনার পারিবারিক কোন সম্পৃক্ততা আছে?
আমার বাবা সরকারি কর্মকর্তা। তার তো রাজনীতি করার সুযোগ নেই। তবে আমি বা আমার পরিবার যে বিএনপি সমর্থন করি সেটা নেত্রকোণার সবাই জানে। আমার চাচা ফুফু সবাই বিএনপি করে। আমি ছোটবেলা থেকে নেত্রকোণা জাসাসের অনুষ্ঠানে গান করেছি। আমার মা এক মেয়াদে নেত্রকোণা জেলা জাসাসের সভানেত্রীও ছিলেন।

আগামীতে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চিন্তা আছে কিনা?
সক্রিয় হব- এ ধরণের চিন্তা নেই। তবে ক্ষেত্র তৈরি হলে হয়তো সক্রিয় হতেও পারি। এখন আমি এসব নিয়ে ভাবছি না। বিএনপিকে সমর্থন করি- ব্যস, এটাই।

ন্যান্সির দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটা নিচে তুলে ধরা হল বাংলানিউজ পাঠকের জন্য

‘আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। আজ বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনলাম। আমি এবং আমার পরিবার সব সময় বিএনপিকে সাপোর্ট করেছি। কিন্তু আজ বিএনপি-র পক্ষপাতিত্ব করে নয় বরং বাংলাদেশের একজন সাধারণ এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে বেগম জিয়ার সুস্পৃষ্ট, সুচিন্তিত, জনহিতকর বক্তব্য কে শুভেচ্ছা জানাই। সেই সাথে বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে যারা অন্যায় করেছেন বা করছেন তাদের প্রতি তিনি যে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি দেখিয়েছেন সেটাও নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। ক্ষমতার অপব্যবহারকারী শেখ হাসিনার জন্য নয়… দীর্ঘদিন ধরে শুধু মাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে যারা আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করেছেন, তাদের সকল অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য করেছেন; এখনই সময় তাদের প্রতিবাদ করার। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের মিথ্যাচারের কবল থেকে মুক্তি চায়। তাই এবার শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বিএনপি জয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।’

শেয়ার করুন