প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রীটির ওপর হামলাকারী যুবক রাকিবুল ইসলাম ওরফে শিমুলকে স্থানীয় লোকজন ধরে পুলিশে দিয়েছেন। তাঁর নামে মামলা হয়েছে। রাকিবুলের বাড়ি বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামে। তিনি এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। উপজেলার তেঁথুলিয়া বাজারে তাঁর একটি স্টুডিও রয়েছে।
আহত ছাত্রীটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ছাত্রী। বাড়ি চারঘাট উপজেলায়।
ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি সম্প্রতি তেঁথুলিয়া বাজারের ওই স্টুডিওতে ছবি তুলতে গেলে রাকিবুল তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় একদিন রাতে রাকিবুল তাঁর (ছাত্রীটি) বাড়িতে চলে আসেন। এ সময় পরিবারের লোকজন তাঁকে মারধর করলে তিনি পালিয়ে যান। গতকাল সকালে ছাত্রীটি তাঁর চাচাতো বোনদের সঙ্গে বাঘা উপজেলার সাহাপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার আড়ানী রেলস্টেশনে রাকিবুল তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে ওই ছাত্রীর ওপর হামলা চালান।
প্রত্যক্ষদর্শী আড়ানী রেলস্টেশনের কুলি সরদার হোসেন আলী বলেন, তিনি দেখেন, একটি ছেলে একটি মেয়ের মাথায় উপর্যুপরি হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করছেন। তাঁরা কয়েকজন দৌড়ে সেখানে যান। হামলাকারীকে লোকজন এসে ধরে ফেলেন। তাঁর সহযোগী পালিয়ে যান। বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বেনজির আহাম্মেদ বলেন, মেয়েটির মাথায় গভীর ক্ষত হয়েছে। বমিও করেছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।