এরশাদ আমলে ছিলেন কেয়ার টেকার। বিশ্বস্ততার সাথে এ দায়িত্ব পালন করার সুবাদে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আর। সৌভাগ্যবান এ ব্যক্তির নাম আব্দুল হাই বাচ্চু। বর্তমানে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বেসিক ব্যাংকও তাকে নিয়ে পড়েছে এক বিব্রতকর অবস্থায়। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে পিওন পর্যন্ত সবাই তটস্থ থাকেন বাচ্চুর জন্য। এ তথ্য ব্যাংক সূত্রমতে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই একজন ডিজিএম এবং একজন ডিএমডি এটাক করেছেন বাচ্চুর নানা অনৈতিক কাজে সাপোর্ট দিয়ে। আরো একজন ডিএমডি স্ট্রোক করেছেন। জনশ্রুতি আছে, চেয়ারম্যানের কারনে ব্যাংকের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী মান-ইজ্জত জলাঞ্চলি দিয়ে ব্যাংকে চাকরী করছেন। বাচ্চুর ভয়তে কিংবা অসহযোগিতার কারনে অন্য ব্যাংকে কেউ যেতে সাহস পান না। অন্যদিকে একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রীতিমতো দিনক্ষন গুনছেন কবে জেলে যেতে হয় তাদেরকে। অতি সম্প্রতি লোন খাতে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, লোন জালিয়াতির কারনে ব্যাংকটি প্রোবলেম ব্যাংক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। জনশ্রুতি আছে নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আব্দুল হাই বাচ্চু ব্যাংক থেকে ইতিমধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। বেসিক ব্যাংকসহ সমগ্র ব্যাংক সেক্টরে বাচ্চু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই হিসেবে সমাধিক পরিচিত। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে কপাল খোলে বাচ্চুর। পরবর্তীতে বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। পাশাপাশি এরশাদের তৎকালীন বান্ধবী জিনাত মোশারফের দেখাশুনার জন্য এরশাদ তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেন। জিনাতকে দেখাশোনা করার জন্য বাচ্চু তখন বনানী ডিওএইচএ জিনাতের বাসার পাশাপাশি প্রতিবেশী ছিলেন। জাতীয় পার্টি ও এরশাদের ঘনিষ্ট একাধিক সূএ বলেছে, বাচ্চুর তখন প্রধান কাজ ছিলো, এরশাদের প্রেমের চিঠি জিনাত কে পৌছে দেয়া, একই সাথে জিনাত থেকে এরশাদের জন্য উত্তর এনে দেয়া। পাশাপাশি ঢাকার অভিজাত হোটেল সমূহ থেকে জিনাতের জন্য ভাল খাবার নিয়ে যাওয়া। সূত্রমতে এরশাদ কিংবা জিনাত মাইন্ড করতে পারেন এমন কাজ তখন বাচ্চু ঘুনাক্ষরেও করতেন না। এমন কি জিনাতের সামনে বাচ্চু চেয়ার বা সোফায় পর্যন্ত বসতেন না। জিনাত এর অসংখ্য ফুট ফরমাইস বাচ্চু তখন বিস্বস্ততার সাথে করতেন।







