ঘোষণার তিন দিন পরই ‘একদলীয়’ নির্বাচন প্রতিহত করতে সারাদেশে কেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম কমিটি গঠনের তাগিদ দিয়ে ৭৫টি সাংগঠনিক জেলায় চিঠি পাঠিয়েছে বিএনপি। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে পাঠানো এই চিঠিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
যদিও বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘোষিত এই সংগ্রাম কমিটির ধারণা এখনো দলটির শীর্ষ নেতাদের কাছে স্পষ্ট নয় বলে নেতারা বলছেন।
গত শনিবার বিকেলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সিলেটে সমাবেশে বিএনপিকে বাদ দিয়ে সরকার একতরফা নির্বাচন করলে তা প্রতিহত করতে সারাদেশে ভোট কেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন খালেদা জিয়া। নগরীর আলিয়া মাদরাসা মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট বিভাগীয় ১৮ দল।
দলীয় প্রধানের এই ঘোষণার পর মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে ৭৫টি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে কেন্দ্র থেকে সংগ্রাম কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “নেত্রীর নির্দেশে সংগ্রাম কমিটি করার জন্য প্রত্যেক জেলায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তারা কমিটির লিস্ট কেন্দ্রে পাঠাবে। পরে তা চূড়ান্ত করা হবে।”
কত সদস্যের এই কমিটি হবে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, “নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে যে তালিকা দেয়া হবে তা যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত হতে পারে।”
এদিকে দলটির বেশ কয়কজন শীর্ষ নেতা নতুন বার্তাকে জানান, সংগ্রাম কমিটি গঠনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে দলীয় চেয়ারপারসন যেহেতু ঘোষণা দিয়েছেন, তাই কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এছাড়া খালেদা জিয়া এ বিষয়ে ১৮ দলের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, এই কমিটি ‘একতরফা’ নির্বাচন প্রতিহত করার পাশাপাশি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জনমত গঠনেও কাজ করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের সবগুলো ভোটকেন্দ্রে এ কমিটি কাজ করবে। তাই ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সংগ্রাম কমিটিতে রাখা হবে। তবে সমন্বয়কারী হিসেবে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দেয়া হবে।”