রাজধানীর কাফরুল থানার পূর্ব শেওড়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত সোমবার রাতে ১২ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাঁদের কাছ থেকে নয় ভরি স্বর্ণালংকার ও বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ওই ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি কাফরুল থানা এলাকার এক বাসায় তাঁরা ডাকাতি করেছিলেন।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ওই ১২ জন হলেন মো. লিয়াকত, আবদুল মতিন, ওসমান আলী, এমরানুল হক, মো. মোতাহার, হাকিম মোল্লা, আবদুস শহীদ, মো. এবাদুল্লাহ, রোকন মিয়া, ফজলুর রহমান, নয়ন মিয়া ও সুমন মোল্লা। স্বর্ণালংকার ছাড়াও তাঁদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি, দুটি দা, দুটি স্ক্রুড্রাইভারসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর ও তেজগাঁওসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছিলেন। তাঁরা গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে ডাকাতি করেন। সম্প্রতি কাফরুল থানা এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাঁদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ডাকাতি করা স্বর্ণালংকার পুরান ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির মালামাল কেনার অভিযোগে আকাশ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ডিবিকে জানান, ডাকাতিকালে তাঁরা কখনো সাধারণ বেশে, কখনো অন্তর্বাস পরে, মুখোশ পরে কিংবা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন। তাঁরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রথমে ডাকাতি করার স্থান ঠিক করেন। সাধারণত যে স্থানে লোকজনের আনাগোনো ও পুলিশের টহল কম সে স্থানগুলোকে ডাকাতি করার জন্য বেছে নেন তাঁরা। ডাকাতির আগে তাঁরা নির্দিষ্ট বাসাবাড়ির আশপাশে কোনো ফাঁকা জায়গায় আগে থেকেই দেশীয় অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম রাখেন। পরে নির্দিষ্ট সময়ে সেগুলো নিয়ে কোনো বাসা-বাড়িতে ঢুকে বাসিন্দাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা গ্রিল কেটে অথবা দরজা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করেন।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে। তেজগাঁও ও মিরপুরে বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় তাঁদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত চলছে।