বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার দেয়া রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় আসামি হচ্ছেন সাকা চৌধুরীর আইনজীবি ফখরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলীর মাধ্যমে রায় ফাঁসের ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুই কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করার পরে তারা গোয়েন্দা পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
রায় ফাঁস হওয়ার ঘটনায় গ্রহণযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার নয়নকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তদন্তের খাতিরে কিছু বলা যাচ্ছে না। কৃষ্ণপদ রায় জানান, ফাঁস হওয়া রায়ের বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-১ সাকা চৌধুরীর মামলার রায় ঘোষণার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ তোলেন, ওই রায়ের অনুলিপি আগের রাতে একটি ওয়েবসাইটে পেয়েছেন তাঁরা। এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার নাসির উদ্দিন মাহমুদ বুধবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন। ট্রাইব্যুনালের কম্পিউটার থেকে রায়ের খসড়া ফাঁস হয়ে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
ডিবি জানায়, তদন্তের সময় ট্রাইব্যুনালে মাস্টার রোলে অস্থায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরি পাওয়া নয়ন স্বীকার করেন, তিনি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের কক্ষের কম্পিউটার থেকে রায়ের খসড়া পেনড্রাইভে নিয়ে তা সাকার আইনজীবীর সহকারী মেহেদী হাসানকে সরবরাহ করেছেন। এই মেহেদীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় করে দিয়েছেন ফারুক। রায়ের এ খসড়া দেশের বাইরে পাঠান মেহেদী। বিদেশ থেকে তা ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়।
এ ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় ট্রাইব্যুনালের ওই দুই কর্মী ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসানকে। তবে তিনি পলাতক।