মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অবিলম্বে ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং লালখান বাজার মাদ্রাসা খুলে দেয়ারও দাবি এসেছে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আবু রায়হানের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে মিডিয়া ক্যুর মাধ্যমে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মাদ্রাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
তাদের দাবি, বৈদ্যুতিক আইপিএস ও রান্নার চুলা থেকে চট্টগ্রামের জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া লালখান বাজার মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড হয়।
সোমবার সকালে লালখান বাজারে হেফাজতের নায়েবে আমির ও নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান ইজাহারের মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ ঘটার পর অভিযান চালিয়ে হ্যান্ড গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ।
বিস্ফোরণের সময় উপস্থিত থাকলেও সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানায়। পরে ইজাহার ও তার ছেলে হারুন ইজাহারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে পুলিশ। রাতে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হেফাজতের অভিযোগ, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মচারীর যোগসাজশে এবং কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের কারসাজির মাধ্যমে এটাকে বোমা ও গ্রেনেড তৈরির গল্প বানানো হয়েছে।
“ঘটনার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যেখানে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, প্রত্যক্ষদর্শী, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিষয়টি সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেছেন। তারা সকলেই এটা একটি স্বাভাবিক দুর্ঘটনাজনিত বিস্ফোরণ হিসেবে প্রচার করেছেন। মাগরিব পর্যন্ত মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি ইজহারুল ইসলামসহ সকল ছাত্র-শিক্ষক মাদ্রাসায় অবস্থানরত ছিলেন।
“কিন্তু সন্ধ্যা ৬টার পর রহস্যজনকভাবে ও অসৎ উদ্দেশ্যে মাদ্রাসায় হাতে তৈরি গ্রেনেড, গুলি ইত্যাদি জিনিস পাওয়া গেছে বলে প্রচারণা শুরু করা হয়।”
ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বলা হয়, লালখান বাজার মাদ্রাসা খুলে দেয়া না হলে কঠোর ও দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে পুরো দেশ অচল করে দেয়া হবে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, দারুল উলুম হাটহাজারীর মুহাদ্দিস ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির শামসুল আলম, আমিরে শরিয়ত শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, নুর হোসাইন কাসেমী, আবদুল মোমেন খলিফায়ে মাদানী, আশরাফ আলী বিজয়পুরী, আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা মুফতি মুজাফফর আহমদ, আল জামিয়া পটিয়া, আবদুল মালেক হালিম প্রমুখ রয়েছেন।