পাহাড়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের বাংলো নির্মাণ কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন টাইগারপাস এলাকায় পাহাড় কাটা ও খনন কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের খনন করা পাহাড়ের মাটি দুই মাসের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
‘পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেই, পাহাড়ে মেয়রের বাংলো’ শিরোনামে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদন যুক্ত করে অনুমতি ব্যতীত মেয়রের বাংলো নির্মাণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ৩ অক্টোবর রিটটি করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়। শুনানির পর অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও দেন। মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, স্থিতাবস্থার কারণে বাংলো নির্মাণকাজ বন্ধ থাকবে। তবে ইতিমধ্যে খনন করা মাটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে।
রুলে ওই সিটি করপোরেশনের অধীনে টাইগারপাস এলাকায় পাহাড় রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া করপোরেশনের ওই জায়গায় পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রতিবেদন ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পরিবেশসচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট), পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দপ্তরের পরিচালক, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ আট বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।