মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণার পর দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম বলেন, “রায় আগে প্রকাশের প্রশ্নই উঠে না। এটা ঠিক নয়। এটা অনুমান নির্ভর।”
রায় পড়া চলাকালে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সালাউদ্দিন বলেন, “এগুলো পড়ার দরকার নাই, এগুলো তো গত দুই দিন ধরে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।”
এর আগে তার ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, রায় তিনি আগেই জেনেছেন।
“রায় গতকালই পইড়া ফালাইছি। আজ তামশা দ্যাখতে আইছি।”
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার মধ্যে চারটি হচ্ছে জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যা। এর জন্যই তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। নতুন সিংহ হত্যাসহ বাকি তিনটি অপরাধের জন্য তাকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বাকি দুটি অভিযোগে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রায়ে সন্তুষ্টি জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “সাকা চৌধুরী হিন্দু সম্প্রদায় ও সাধারণের ওপর যে গণহত্যা চালিয়েছিল তা ছিল অভাবনীয়। এটি সঠিক বিচার হয়েছে।”
তিনি বলেন, সালাউদ্দিন কাদের ছয় বারের সংসদ সদস্য হলেও সব সময় তার আচরণ ছিল আদালতের প্রতি অসম্মানজনক, ঔদ্ধত্যপূর্ণ। আদালতের বিচারকে ভিন্নভাবে বাধার সৃষ্টি করেছে তার আচরণ।
মাহবুবে আলম বলেন, “যেসব পরিবারের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল ৪২ বছর পরে হলেও তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।”