রাজশাহীতে বস্তি এখন একটি বড় সমস্যা: রাসিক মেয়র

0
196
Print Friendly, PDF & Email

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিএনপির সদস্য পদ হারাবেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। কারণ গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট বলা আছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোনো ব্যক্তি সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না।  মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচার কাজ শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্যের বিরুদ্ধের করা মামলার রায় ঘোষণা হবে।

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে ২৫টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৭টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আলম মালুম বলেন, ট্রাইব্যুনালের কাছে তারা সাকা চৌধুরীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- প্রত্যাশা করছেন।

এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ছয়টি রায় এসেছে। এর মধ্যে মৃত্যুদ- ছিল চারটি। বাকি দুইটির মধ্যে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদ- ও জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে কাদের মোল্লারও মৃত্যুর দ-াদেশ হয়েছে। তাই অন্যান্য রায় বিবেচনায় নিলে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীরও  কোনো না কোনো মেয়াদে সাজা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরই বিএনপিতে তার সদস্য পদ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। কারণ দলের গঠনতন্ত্রের ৫ নম্বর ধারার ‘ক’ অনুচ্ছেদের ২ নম্বর  উপধারায় স্পর্শ বলা আছে-‘বাংলাদেশের স্বাধীনতায়, সার্বভৌমত্ব ও অখ-তার বিরোধী, গোপন সশস্ত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা সমাজ বিরোধী ও গণবিরোধী কোন ব্যক্তিকে এই সংগঠনের সদস্য পদ দেয়া হবে না।’

তবে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে যেহেতু আপিল বিভাগে আবেদনের সুযোগ রয়েছে তাই সেখানে মামলার রায়টি চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এবিষয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হতে পারে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমরা রায়ের ঘোষণার অপেক্ষায় আছি। রায়ের পর দল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। রায়ের আগে এনিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে বিএনপির যে সাংগঠনিক আইন রয়েছে তা তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।’রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ক্রমশ বস্তি গড়ে উঠছে। এটা আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এসব বস্তির কারণে সেসব স্থানে উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বস্তি গড়ে ওঠার কারণে সেখানে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সোমবার দুপুরে মহানগরীর মাস্টারসেফ কনফারেন্স হলে আয়োজিত ওয়ার্কশপ অন স্যানিটেশন প্ল্যানিং এ্যাট জিয়ানগর স্লাম কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, মহানগরীর সংগৃহীত আবর্জনাকে রিসাইকেলিং পদ্ধতিতে সার ও বিভিন্ন সম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েকটি ওয়ার্ড নিয়ে একটি পাইলট প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হবে।
এসময় মহানগরীর স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নান্দনিক সৌন্দর্য বিকশিতকরণে সকলের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গড়ে না উঠলে মানুষের স্বাস্থ্যহানী ঘটে এবং সামাজিক পরিবেশে সমস্যা সৃষ্টি করে। এজন্য বস্তি এলাকায় নারী-শিশুদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের লক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ইউপিপিআর প্রকল্প এর মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনও কাজ করছে। আমরা এ বিষয়ে আরো সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই।

মেয়র বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে যেন বিশুদ্ধ পানির কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য আরও ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে ওয়াসাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ মহানগরী গড়ে তুলতে চাই। এজন্য আমাদের প্রত্যেককেই অন্তত একটি করে বৃক্ষের চারা রোপণ ও তার যতœ নেয়া উচিত।
ভার্ক ও ওয়াটার এইড যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রুহুল আমিন টুনু, ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোসা. তাহেরা বেগম মিলি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন