মিরপুরের পাইকপাড়ার ছয় বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয় ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার। পরদিন মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর (সংশোধনী ২০০৩) ৯-এর ১ ধারায় শিশুটির মা মামলা করেন। তবে ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আসামি ধরা পড়েনি।
শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। শিশুর মা জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তাঁর মেয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না। তার পায়খানার রাস্তা ফুলে গেছে।
শিশুর পক্ষে মামলাতে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির পরিচালক রেহানা সুলতানা বলেন, শিশুর অবস্থা আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছে। তবে তার ভয় কাটেনি।
এ পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আহমেদনগর পাইকপাড়া কমিটি। তবে দুটি সংগঠনের সহায়তা পাওয়ার পরও আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ। মিরপুর মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, রোববার (আজ) আদালতে শিশুটির জবানবন্দি নেওয়া হবে। একাধিকবার এলাকায় গিয়েও আসামিকে পাওয়া যায়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা। তবে শিশুর পরিবার বলছে, আসামি সোহেল (২৬) পলাতক থাকলেও তাঁর পরিবার এলাকাতেই আছে। পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পাঁয়তারা করলেও পুলিশ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শিশুর বাবা মিরপুরে বাস চালান। আসামি তাঁদের পাশাপাশি টিনের ঘরে থাকতেন। শিশুটির মা দুপুরে পাশের বাড়ি থেকে পানি আনতে যান। তখন সোহেল শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।
শিশুটির মা বলেন, ‘পানি আনার পর দেখি কোনো সাড়াশব্দ নাই। ভাবছি মাইয়্যা আমার ঘুমাইয়া পড়ছে। কিন্তু মায়ের মন, তাই আবার ঘরে উঁকি দিই। দেখি মাইয়্যা নাই। ডাকাডাকি করে এলাকায় খুঁজতে থাকি। একসময় মাইয়্যা ঘর থেইক্যা জবাব দেয়। কাছে গিয়া দেখি মাইয়্যার পায়জামা ছিড়া। তারপর বটি হাতে লইয়্যা মা ও মাইয়্যা একসঙ্গে মরতে যাই। তখন এলাকার লোকজন জানাজানি হইব বইল্যা চুপ করতে কয়।’