বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা নুন্যতম বেতন-ভাতা, স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে অব্যাহতভাবে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছে। গত কয়েকদিনের শ্রমিক আন্দোলনের সময় তাদের ওপর পুলিশি হামলার ফলে বহু শ্রমিক আহত হয়েছে। সরকারের নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলে পরে তার অবস্থান থেকে ফিরে এসেছেন। গার্মেন্টস শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ এবং প্রাসঙ্গিক নানা বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছি বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে।
পুরো সাক্ষাতকার আপনাদের জন্য উপস্থাপন করা হলো।
প্রশ্ন : শ্রমিক অসন্তোষে ফুঁসে উঠেছে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প। আর এ অসন্তোষের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, টঙ্গী, সাভার ও আশুলিয়া গার্মেন্ট কারখানাগুলোয়। নূন্যতম মজুরি আট হাজার টাকা এবং নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন।নৌপরিবহনমন্ত্রী শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশ করলেন এবং শ্রমিকদের দাবি দাওয়া পূরণের উদ্যোগের কথা বললেন তারপর হঠাত কেন অসন্তোষ প্রকট আকার ধারণ করল?
নজরুল ইসলাম খান: দেখুন গার্মেন্টস শ্রমিকদের এই অসন্তোষ দীর্ঘ দিনের। এটি নতুন করে শুরু হয়েছে এমনটি নয়। গার্মেন্টস শ্রমিকরা যা বেতন পায় তাতে তাদের চলে না।জিনিসপত্রের দাম আরো বেড়ে গেছে। ফলে শ্রমিকরা সাধারণভাবে বিভিন্ন সময় এ বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছে।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের আরেকটি বড় অভিযোগ হচ্ছে- মিড লেবেল ম্যানেজমেন্ট তাদের ওপর দুর্ব্যবহার করে থাকে। শ্রমিকদের বেশি সময় কাজ করতে বাধ্য করে। একটু দেরিতে গেলে বেতন কেটে নেয়। এভাবে নানারকম অত্যাচার করা হয় তাদের ওপর। আর যখনই কোনো একটা আন্দোলন শুরু হয় তখনই শ্রমিকদের এইসব অসন্তোষগুলো তীব্র আকার ধারণ করে এবং এই খাতে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান শ্রমিকদের নিয়ে একটা সমাবেশ করেছেন এবং ঐ সমাবেশে নুন্যতম বেতন আট হাজার টাকা করার কথা বলেছেন। মন্ত্রীর এই কথায় শ্রমিকরা মনে করেছেন- শাজাহান খান যেহেতু সরকারের মন্ত্রী-তিনি যখন আট হাজার টাকা নুন্যতম বেতনের কথা বলেছেন তখন এটি সরকারেরই কথা। তাছাড়া মন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকে আরো একটি ধারণা শ্রমিকরা করেছে। সেটি হচ্ছে, সরকার এই মজুরী দিতে চায় কিন্তু মালিকরা সেটি দিতে চায় না। এই জন্য মূলত মালিকদের বিরুদ্ধে তাদের এই তীব্র আন্দোলন।
তবে সরকার দিতে চায় অথচ মালিকরা দিতে চায় না- শ্রমিকদের এই ধারণাটাও ভুল। সরকার আসলে দিতে চায় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ হচ্ছে- সরকার গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য যে মজুরী বোর্ড গঠন করেছে সেই মজুরী বোর্ড এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের বেতনের ব্যাপারে কোনো সুপারিশ সাবমিট করেনি। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যে ধরনের কথা-বার্তা বলেছেন তা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হতেও পারে তবে বাস্তবতা হচ্ছে শ্রমিকরা ধরে নিয়েছেন যেহেতু মন্ত্রী বলেছেন ফলে এটি সরকারেই কথা। আর সে কারণে ২১ সেপ্টেম্বর শ্রমিকদের সমাবেশ হওয়ার পরের দিন থেকেই তাদের এই আন্দোলন তীব্রভাবে শুরু হলো। তবে আমার মনে হয় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের কৌশলটা ভুল ছিল। মন্ত্রীমহোদয় শ্রমিকদের কথাও সমাবেশে বলেছেন পাশাপাশি রাজনীতির কথাও বলেছেন। আর তার রাজনৈতিক বক্তব্যকে অনেকে অপছন্দ করেছেন।
প্রশ্ন : নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের শ্রমিকদের নিয়ে সম্মেলন করার কারণ আসলে কি ছিল। তিনি একদিকে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া পূরণের কথা বলছেন, আবার তাদের কোনো দাবি পূরণের আগেই কাজে যোগদানের কথা বললেন। তিনি মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করলেন কেন?
নজরুল ইসলাম খান: দেখুন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী বললেন আর শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবেন এমনটিই নয়। শ্রমিকরা যেসব দাবি দাওয়ার ভিত্তিতে আন্দোলন করছেন সেটি তাদের ন্যায্য দাবি। নুন্যতম আট হাজার টাকা মজুরীর দাবি নিয়ে শুধু গার্মেন্ট শ্রমিকরা করেনি এটা সারাদেশের শ্রমিকদের দাবি। শ্রমিকদের এই দাবি ন্যায্য দাবি এবং এটা হতেই পারে। কিন্তু এখানে যে প্রশ্নটি আসে সেটি হচ্ছে- শ্রমিকদের দাবির সাথে যখন মন্ত্রীর বক্তব্য মিলে গেছে তখনই শ্রমিকদের আন্দোলনটা বেগবান হয়েছে। শ্রমিকরা সমস্ত শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমি এ প্রসঙ্গে আরো একটু বলে রাখি- নৌ-পরিবহনমন্ত্রী যেসব সংগঠন নিয়ে সমাবেশ করেছেন তাদেরও তেমন কোনো প্রভাব নেই। তাছাড়া গার্মেন্টস শিল্পে যেসব ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে প্রকৃতপক্ষে তারাও ওইভাবে শক্তিশালি নয়।
আরো একটি কথা হচ্ছে- আন্দোলন করা এবং আন্দোলন বন্ধ করার মধ্যে কিন্তু পার্থক্য আছে। যারা আন্দোলনের নির্দেশ দেবে তারা আন্দোলন বন্ধ করতে পারবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ শ্রমিকদের স্বার্থের পক্ষে যেই কথা বলুক শ্রমিকরা সেটা পছন্দ করে কিন্তু যখন কেউ শ্রমিকদের সেই স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলে এবং আন্দোলন বন্ধ করতে বলে তখন চাইলেও বন্ধ করানো যায় না। কিন্তু দুভ্যাগ্যক্রমে যারা এ কাজটি করেছেন তারা এটা বুঝতে চাননি। এটা অবশ্যই তাদের ভুল হয়েছে।
প্রশ্ন : জ্বি জনাব নজরুল ইসলাম খান, অনেকে এমন বলছেন যে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশ করেছেন- আপনার কি মনে হয়?
নজরুল ইসলাম খান: নৌ-পরিবহনমন্ত্রী যে সমাবেশ করেছেন এবং যেসব লিফলেট ও পোস্টার ছাপানো হয়েছিল তার প্রত্যেকটিতে রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল। গার্মেন্টেসের সাধারণ শ্রমিকরা রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বক্তব্য পছন্দ করে না।তাদের দাবি নিয়ে তারা যতখানি কনসার্ন রাজনীতি নিয়ে তারা অতটা কনসার্ন না। শ্রমিকরা রাজনীতির জন্য আন্দোলন করছে না তারা তাদের মৌলিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করছে। কিন্তু মাননীয় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী যেহেতু রাজনীতি করেন ফলে তার বক্তব্য বা কর্মে তো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আর তার এই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে যেসব সংগঠন নিয়ে মন্ত্রী সমাবেশ করেছেন তার অনেকগুলো সংগঠন বিবৃতি দিয়ে বলেছে তারা মন্ত্রীর সঙ্গে নেই কারণ তারা তাদের দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতির জন্য নয়। কিন্তু এখানে শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার চেয়ে রাজনীতিই মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ফলে এর সঙ্গে তারা নেই।
শ্রমিক আন্দোলনের একজনকর্মী হিসেবে আমি যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে যে, গার্মেন্ট শ্রমিকরা যেসব দাবি দাওয়া ও সমস্যার কথা বলছে সেটা সঠিক। তাদের সমস্যার সমধান জরুরীভাবে করা দরকার কারণ শ্রমিকরা ভীষণ কষ্টে আছে। শ্রমিকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে তাদের সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করাটা খুবই অন্যায় হবে। বরং গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সহযোগিতা করা দরকার। এরমধ্যে রাজনীতি প্রবেশ করিয়ে আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করা একটি ভুল কৌশল। আর সরকারের পক্ষ থেকে এই কৌশল গ্রহণ করায় ক্ষতিগ্রস্ত সরকারই হয়েছে।
প্রশ্ন : শ্রমিকদের দাবি দাওয়াকে আপনি যৌক্তিক বলে উল্লেখ করলেন। তো কেউ কেউ এ শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে মনে করছেন। অনেকে বিদেশের হাত থাকার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। আপনারও কি তাই মনে হয়?
নজরুল ইসলাম খান: দেখুন শ্রমিকদের আন্দোলনের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ গার্মেন্টস মালিকদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকেরা আছেন শুধু তাই নয় বর্তমান সংসদে বিভিন্ন দলের অনেক সদস্য আছেন যারা গার্মেন্টস মালিক। একইসাথে গার্মেন্টসের ট্রেড ইউনিয়ন অতোটা শক্তিশালীও নয় যে তারা একটা পরিকল্পনা নিয়ে কিছু করতে পারবে। কাজেই শ্রমিকদের এ আন্দোলনের পেছনে রাজনীতি আমি দেখছি না।
তবে তাদেরকে নিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।কিন্তু পরবর্তী কয়েকদিন ধরে যে আন্দোলন চলছে এটি শ্রমিকদের স্বতস্ফুর্ত ব্যাপার এতে রাজনীতি আছে বলে আমি মনে করি না।
আর আমাদের গার্মেন্টস শিল্প বা গার্মেন্টস বাণিজ্যে যারা প্রতিপক্ষ আছে আশেপাশে বা অন্যান্য দেশে তার কেউ এরমধ্যে যুক্ত কিনা সেটা তদন্তের বিষয়। তবে দেশের বাইরের কারো ষড়যন্ত্র থাকার ব্যাপারটি বিচিত্র নয়। কারণ প্রতিপক্ষরা তো সব সময় চাইবে ব্যবসায় কিভাবে অন্য পক্ষকে দুর্বল করা যায়। কিন্তু কারো কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না সেটা রাজনৈতিকই বলুন আর বর্হিদেশীয় বলুন শুধু যদি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা দেয়া যায়, নিয়মিত বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া যায়, তাদের কর্মক্ষেত্র যদি নিরাপদ করা যায় এবং তাদেরকে যদি যথাযোগ্য সম্মান দেয়া যায় তাহলে তারা কোনো ষড়যন্ত্রের হাতে পড়বে না। আমার মনে হয় গার্মেন্টস অস্থিরতার জন্য বিভিন্ন জনকে দায়ি করার চেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করা।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী খাত পোশাক শিল্প শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য দাবির বিষয়টি নতুন নয়।তাজরিন ফ্যাশন ও রানা প্লাজা ধসের পর- জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসবের পরও কেন সরকার এবং গার্মেন্টস মালিকদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা পূরণে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না?
নজরুল ইসলাম খান: দেখুন মালিকদেরকে আমি বুঝি। তাদের একধরনের চিরায়ত স্বভাব হচ্ছে শ্রমিকদেরকে কম দিতে চাওয়া এবং মুনাফা বেশি করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশের সরকার মালিকদের সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই শ্রমিকদের আন্দোলনের পক্ষে থাকে না। অনেক সময় সরকার শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যেমন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পোষাক খাতে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে এবং করবে তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যারা শ্রমিকদেরকে এতদিন ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত করেছে তাদের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু বললেন না। যাদের দুর্ব্যবহারের জন্য শ্রমিকদের অসন্তোষ- তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলো না! যেসব মালিকদের জন্য শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র নিরাপদ না তারা বহাল তবিয়তে আছে। শ্রমিকরা বিভিন্ন সময়ে দালান চাপা পড়ে কিম্বা আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে অথচ যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। সেজন্য আমি বলব- কোনো হুমকি ধমকি না- শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান এবং শিল্পের সমস্যার সমাধানের মধ্যেই শান্তি ফিরে আসতে পারে।
প্রশ্ন : আপনারা এই মুহুর্তে বিরোধী দলে আছেন,যদি বর্তমান সরকার শ্রমিকদের এই দাবি পূরণ না করে সেক্ষেত্রে আপনারা ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের এই দাবি কি মেনে নেবেন?
নজরুল ইসলাম খান: দেখুন, শ্রমিকদের দাবি নিয়ে তাদের সাথে আলাপ- আলোচনা করা এবং একটি সঙ্গত সমাধানে আসা। আমি বিশ্বাস করি যে বিএনপি সরকারে আসলে এ কাজটা করবে। এর আগেও বিএনপি সেটা করেছে। বিএনপি ১৯৯১ এ ক্ষমতায় এসে শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী করেছে। ২০০১ সালেও বিএনপি শ্রমিকদের বেতন নিয়ে সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করে ২০০০ সালের মধ্যে শ্রমিকদের কোনো নুন্যতম মজুরী করা হয়নি। এরপর একটা বড় গ্যাপ সৃষ্টি হওয়ায় গার্মেন্ট শ্রমিকরা বঞ্চিত হয়েছে।
প্রশ্ন : আপনার কথা অনুযায়ী আপনারা ক্ষমতায় এলে এবং বর্তমান যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেখানে শ্রমিকদের রক্ত ঝরছে রাস্তায় সেখানে আপনারা ক্ষমতায় এলে আর শ্রমিকদের রক্তক্ষয়ী আন্দোলন করতে হবে না এই নিশ্চয়তা দিতে পারবেন?
নজরুল ইসলাম খান: আমি বিশ্বাস করি বিএনপি শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় কাজ করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে এবং এবারও বিএনপি ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবে। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দাওয়া এবং সমস্যার সমাধান নিশ্চয়ই করবে বিএনপি এ বিশ্বাস আমার আছে।সূত্র: রেডিও তেহরান