প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোলসংখ্যায় বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গিয়েছিলেন আগেই। লিওনেল মেসি এবার গোলসংখ্যায় পেরিয়ে গেলেন রিয়াল মাদ্রিদের রাউলকেও। রিয়ালের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা রাউল করেছিলেন ৩২৩ গোল। কাল আলমেরিয়ার বিপক্ষে মেসি করলেন ৩২৪ নম্বর গোলটি। রাউলের গোলগুলো এসেছিল ৭৪১ ম্যাচে। মেসির লাগল মাত্র ৩৮৮টি ম্যাচ! সত্যিই অবিশ্বাস্য!
এটি হয়তো রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে কালকের গোলটি দুটো রেকর্ডের পাতায় বসিয়ে দিয়েছে মেসির নাম। স্প্যানিশ লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অ্যাওয়ে ম্যাচের গোলসংখ্যায় মেসি পেরিয়ে গেলেন এক শ গোলের মাইলফলক। কালকের গোলটি লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে মেসির ১০১তম গোল। মেসি আগেই ভেঙে দিয়েছেন রিয়াল কিংবদন্তি হুগো সানচেজের করা অ্যাওয়ে ম্যাচে ৯৯ গোলের রেকর্ড। লিগে তাঁর মোট গোলের প্রায় অর্ধেক মেসি করেছেন প্রতিপক্ষের মাঠে। এখান থেকেই বোঝা যায় মেসির কৃতিত্বটা। শুধু নিজের মাঠেই নয়, প্রতিপক্ষের মাঠেও মেসি একই রকম গোলমেশিন।
বার্সার হয়ে মেসির ৩২৪ গোলের ২২৩টি এসেছে লিগে। বার্সেলোনার হয়ে লিগে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড এটি। ১৯৩৯ থেকে ১৯৫৫ পর্যন্ত বার্সার হয়ে খেলা সিজার রদ্রিগেজের গোলও ২২৩টি। এখন রেকর্ডটি ভাগাভাগি করতে হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই মেসি যে বার্সার হয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাচ্ছেন, সেটি বলাই বাহুল্য।
বার্সার হয়ে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও সব স্প্যানিশ লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মেসিকে। এই তালিকায় মেসি এখন আছেন পাঁচে। ২৫১ গোল নিয়ে রেকর্ডটি অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কিংবদন্তি তেলমো জারার দখলে।
মেসি মাত্র ২৮ গোল পেছনে। নিশ্চিতভাবেই রেকর্ডটি হাতছানি দিচ্ছে তাঁকে। মেসিকে হাতছানি দিচ্ছে আরেকটি রেকর্ড। চ্যাম্পিয়নস লিগে রাউলের ৭১ গোলের জবাবে মেসির গোলসংখ্যা ৬২। খুব তাড়াতাড়িই হয়তো মেসি এই জায়গাতেও রাউলকে ছাড়িয়ে যাবেন।
এ যুগের ফুটবল জাদুকর কোথায় গিয়ে থামবেন কে জানে!
কালকের জয়টি বার্সার কোচ হিসেবে অভিষিক্ত জেরার্ডো মার্টিনোর জন্যও অন্য রকম একটি রেকর্ড। লিগে শুরু থেকে টানা সাত ম্যাচে জিতেছে বার্সা। ক্লাব ইতিহাসে এটাই বার্সার সবচেয়ে ভালো শুরু। গত মৌসুমে লিগে রেকর্ড ১০০ পয়েন্ট এনে দিয়ে বার্সাকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন টিটো ভিলানোভা। কিন্তু তিনিও প্রথম সাতটি ম্যাচ জেতাতে পারেননি। সপ্তম ম্যাচেই ড্র করেছিল বার্সা।
বিনয়ী মার্টিনো অবশ্য সরল স্বীকারোক্তির মতো বললেন, এতে তাঁর কোনো কৃতিত্ব নেই, ‘এই খেলোয়াড়রা যা অর্জন করেছে তারই ফায়দা আমি নিয়েছি। এরা তো বছরের পর বছর ধরে রেকর্ড ভেঙে চলেছে। আমরাটা নেহাতই সেই ঘটনাক্রমেই ঘটে যাওয়া একটি রেকর্ড।’









